রাঙামাটি ক্রীড়া সংস্থার অসচেতনতা, সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা না করাতে চুরির ঘটনা সম্ভব হয়েছে

0
135

অনন্ত চাকমা, 

ক্রীড়া প্রতিবেদন :

নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা সিসি ক্যামেরা না থাকায় প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে রাঙ্গামাটি স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামে আসা খেলোয়াড়, ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়ামোদিদের মোবাইল, নগদ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল প্রায়ই চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। গত শনিবার বিকেলেও চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরের দল  পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যতম জনপিয় অনলাইন পত্রিকা ‘হিলর সংবাদ’ এর সম্পাদক,দৈনিক রাঙামাটি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার,এবং জাতীয় দৈনিক প্রথম ভোর পত্রিকার রাঙামাটি প্রতিনিধি,  রাঙামাটির স্থানীয় সংবাদকর্মী সুপ্রিয় চাকমা শুভ,র নগদ টাকা সহ দামি মোবাইল ফোন, ব্যাংক ডেবিট কার্ড, প্রযোজনীয় কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। এসময় তিনি খেলার মাঠে বিকালের ব্যায়ামে ব্যস্ত ছিলেন।

সংবাদকর্মী শুভ ক্ষোভ প্রকাশ করে  জানান, রাঙামাটি ক্রীড়া সংস্থার অসচেতনতার কারনে দিন দুপুরে এমন নৈরাজ্যজনক ঘটনা ঘটেছিল।যা কর্তৃপক্ষের এহেন অসচেতনার কারনে অনেকবার চুরি হয়েছিলো। তিনি আরো জানান,  নিজেকে শারীরিকভাবে ফিট রাখতে প্রতিদিন বিকালে মাঠে ব্যায়াম করতে যাই। শনিবারও স্টেডিয়ামে গিয়ে স্টেডিয়ামের ভেতরের মাঠে নিজের সাথে প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র একটি ব্যাগে রেখে মাঠে নেমে পড়ি। এমনকি ব্যাগটি আমার কাছা-কাছি রাখি। ফেরার সময় হলে ৩/৪ মিনিটের ভেতরে  ফিরে এসে দেখি ব্যাগটি গায়েব। অনেক খোঁজাখুজির পর বুঝতে পারি কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়।

এদিকে, স্টেডিয়ামের ভেতর-বাইরে প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। খেলা চলাকালীন খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুম থেকেও জিনিসপত্র নিয়ে যায় বলে খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। রাতের আধাঁরে খাম্বা থেকে ভবনের মুল বিদ্যুতের তার চুরি করে নিয়ে যায় চোরের দল। তাছাড়া, মুল ভবনের সামনে থেকে বিভিন্ন সময়ে মোটর বাইকের বিভিন্ন পার্টস নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও অনেকবার ঘটেছে।ভবিষ্যতে যাহাতে এ  এধরনের চুরি না হয় সেজন্য সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করার জন্য রাঙামাটি ক্রীড়া সংস্থার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান।

সংবাদকর্মী শুভ চাকমা দুঃখ প্রকাশ করে জানান, রাঙামাটি মানেই পাহাড়ি বাঙালীর সম্প্রীতির বসবাস। আর রাঙামাটি স্টেডিয়ামে  বিভিন্ন শ্রেণীর লোকের আগমণ। যখন ব্যাগটি গায়েব হয় তখন অফিস কক্ষের দিকে ছুটে যায় সিসি ক্যামেরারে ফুটেজ দেখতে। কিন্তু অফিস কর্তৃপক্ষ হতে সিসি ক্যামেরা নেই বলে জানায়। তিনি আরো জানান, ব্যাগের মধ্যে নগদ সাড়ে ৫ হাজার টাকা, প্রেস এর আইডি কার্ড, ওয়ান ব্যাংকের ডেবিট কার্ড, অপ্পো দামি মোবাইল সেট। যার IEMEI নাম্বার টি হলো-
( IEMEI 1: 867612035519317,
IEMEI 2: 867612035519309 ) নরমাল মোবাইল সেট, একটি ৬৪জিবি মেমোরী কার্ড,মোটর বাইকের চাবিসহ আরো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিল। সিসি ক্যামেরা থাকলে চোরকে হয়তো সনাক্ত করা যেত। কিন্তু রাঙামাটি ক্রীড়া সংস্থার এটি বড় দুর্বলতা বলে তিনি মনে করেন । এ ব্যাপারে তিনি কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। IEMEI  নাম্বার দিয়ে মোবেইলের অবস্থান জানার জন্য সর্বাত্ত্বক চেষ্টা করা হচ্ছে।এদিকে সংশ্লিষ্টরা জানান, স্টেডিয়ামের মুল ভবনকে কেন্দ্র করে চারদিকে যতটুকু সম্ভব সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা জরুরী। সিসি ক্যামেরা থাকলে চোর কোন না কোন ভাবে ধরা পড়ে যেত। কিছুদিন পর পর এসব চুরির ঘটনা স্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়ামোদিদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

এছাড়া বর্তমান সাধারণ সম্পাদক বরুন দেওয়ানকে মোবাইলে বারবার কল করার পর সংযোগ না পেয়ে, বিষয়টি নিয়ে সদ্য নির্বাচিত জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজমকে অবহিত করলে তিনি জানান,প্রায়ই শুনি এসব চুরির ঘটনা। ডিএসএ ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিনিসপত্র রক্ষনাবেক্ষন ও নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে সিসি ক্যামেরা লাগানো খুব জরুরী হয়ে পড়েছে। চলতি মাসে ডিএসএ,র দায়িত্ব গ্রহণ করার পর স্টেডিয়ামের মুল ভবনকে কেন্দ্র করে চারদিকে যতটুকু সম্ভব সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে সভায় উত্থাপন করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here