এছাড়া জাতিসংঘ বাংলাদেশের রাজনীতিককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে এমন মন্তব্যেও বিব্রত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাটি। কারণ তারা নিজে থেকে কাউকে আমন্ত্রণ জানায়নি।
একটি কূটনৈতিক সূত্র বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, জেনকার সঙ্গে আলোচনায় মির্জা ফখরুল বাংলাদেশের রাজনীতিতে মধ্যস্থতার জন্য নির্বাচনের আগে প্রতিনিধি পাঠানোর অনুরোধ জানান। বিএনপির পক্ষ থেকে জাতিসংঘকে জানানো হয় তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে প্রস্তুত। তবে সবার জন্য সমতামূলক পরিবেশ তৈরির জন্য জাতিসংঘকে মধ্যস্থতা করতে হবে।
তবে জেনকা প্রস্তাব রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে মির্জা ফখরুলকে জানান। কারণ জাতিসংঘ নিজে থেকে কোনও উদ্যোগ নিতে পারে না। রাজনৈতিক মধ্যস্থতার জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুরোধ না আসলে তারা এটি করতে পারে না।
ওই কূটনীতিক আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে তৎকালীন রাজনৈতিক শাখার সহকারি মহাসচিব ওসকার ফার্নান্দেজ-তারানকো মধ্যস্থতা করতে এসেছিলেন। তবে এবারে কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এছাড়া নির্বাচনে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে বিএনপির প্রস্তাবও নাকচ করে দেন জেনকা। কারণ এই ধরনের প্রতিনিধিদল পাঠানোর জন্য সাধারণ পরিষদ বা নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়।
জেনকার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে আরও ছিলেন বিএনপির নেতা তাবিথ আউয়াল ও লন্ডন প্রবাসী হুমায়ুন কবির।
এদিকে মির্জা ফখরুলের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘ কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি জাতিসংঘে খালেদা জিয়ার মামলা ও তার কারাবরণ নিয়ে বিস্তারিত একটি ফাইল জমা দিয়েছেন। এছাড়া তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে যাওয়া জাতিসংঘের প্রতিনিধি তারানকোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হওয়া ‘জেন্টলম্যান্ট এগ্রিম্যান্ট’র বিষয়টি পুনরায় তুলে ধরেন।