শান্তিবাহিনীর প্রধান স্বীকার করলেন তাদের এখনও কয়েকশত সশস্ত্র রয়েছে

1

মুক্ত মতামত

শান্তিবাহিনীর প্রধান অবশেষে স্বীকার করলেন তাদের এখনও বেশ কয়েকশত সশস্ত্র রয়েছে, অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন।

পার্বত্য শান্তিচুক্তির সময় অস্ত্র জনবল সীমিত করেছেন কিন্তু অস্ত্র পরিহার করেননি সন্তু লারমা। আর সরকার বলছে, শান্তিবাহিনী সকল অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে!!

তাহলে কি পার্বত্য শান্তিচুক্তি কৌশল পূর্বক ভাঁওতাবাজি ছিলো? তবে কি শান্তিবাহিনীর তৎকালীন কৌশলের কাছে সরকার পরাজিত??

১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় শান্তিবাহিনীর প্রধান সন্তু লারমার মধ্যকার পার্বত্য চুক্তি সাক্ষরিত হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলে দীর্ঘ বছরের সশস্ত্র যুদ্ধ বন্ধ হয়। যুদ্ধ বিরতির মাধ্যম সংঘাত অনেকটা পরিহার হয় উক্ত অঞ্চলে। বিরাজমান পরিস্থিতি শীতল হওয়াই আশার আলো জাগে পার্বত্য জনমতে। সরকারের কাছে শান্তিবাহিনীর সকল সদস্যরা অস্ত্র জমা দিয়েছে এমনটা ধারণা ছিলো সবমহলের। আর সরকার শান্তিবাহিনীর সদস্যদের সরকারি চাকরির পাশাপাশি রেশন নানান সুবিধা সহ পাহাড়ি জাতিসত্বার জন্য বিশেষ সুবিধা চালু করে। এবং শান্তিবাহিনীর প্রধান সন্তু লারমাকে মন্ত্রী পদমর্যাদা দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অাঞ্চলিক পরিষদ গঠন পূর্বক চেয়ারম্যান করে৷ চুক্তির ধারা মোতাবেক শান্তিবাহিনী প্রধান সন্তু লারমা এখন সরকারের মন্ত্রী পদমর্যাদা ভোগ করছে যাচ্ছেন। এবং ৩৫ হাজার বাঙ্গালীকে হত্যা করেও রেহাই পেয়েছেন। তার নামে পূর্বের সকল মামলা খালাস করে দিয়েছে সরকার।

অথচ শান্তিচুক্তির ২২ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও পাহাড়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে সেই রক্তপিপাসু রুপে শান্তিবাহিনী!! শান্তিবাহিনীর প্রধান সন্তু লারমা নিজে স্বীকার করেছেন তাদের এখন সশস্ত্র রয়েছে অনেক। কয়েকশত সশস্ত্র রয়েছে বলে প্রথম বারের মতো স্বীকার করলেন তিনি নিজে সরাসরি!! ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর চুক্তি সাক্ষরিত হলেও ২০০০ সাল থেকে সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় বলে তিনি জানান। তাহলে কি পার্বত্য শান্তিচুক্তি ভাঁওতাবাজি ছিলো??? পার্বত্য শান্তিচুক্তির প্রথম শর্ত ছিলো অস্ত্র পরিহার করা। কিন্তু সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেও অস্ত্র পরিহার করেনি তথাকথিত শান্তিবাহিনী। শান্তিবাহিনী চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে, যার কারণে সরকারের উচিৎ চুক্তি বাতিল করে সেনাবাহিনী দিয়ে অপারেশন পরিচালনা করে সম্পূর্ণভাবে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নির্মূল করা। অন্যথ্যা পার্বত্য চট্টগ্রামে বড় ধরনের সংঘাত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে রাখতে জটিলতায় পড়তে হবে। বর্তমান সমীকরণে বুঝা যাচ্ছে শান্তিবাহিনী সহ ইউপিডিএফ খুব শক্তিশালী। যারা সরকারি বাহিনী সহ পার্বত্য বাসীর উপর সন্ত্রাসী হামলা ও চোরাগোপ্ত হামলা অবহৃত রেখেছে৷ বাংলাদেশ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি-বান্দরবান আলাদা করে জুম্মাল্যান্ড নামক নতুন রাষ্ট্র গঠন করার মতো হুমকি দিচ্ছে। এসব কিছু বিবেচনা করলে বুঝা যায়, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ছিলো তৎকালীন কৌশল। সরকারকে বোকা বানানো আর সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে অস্ত্র সংগ্রহ করে নিজেদের শক্তিশালী ভাবে গড়ে তোলা।

আমরা দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ করে আসছি, পার্বত্য শান্তির নাম পরে শান্তিবাহিনী গোপনে অস্ত্র সরবরাহ করে শক্তিশালী হচ্ছে৷ পাহাড়ে সকল হত্যাযজ্ঞ ও খুন, গুম, অপহরণ, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, সংঘাত শান্তিবাহিনী সহ উপজাতীয় সংগঠন গুলো করছে। আমাদের কোন কথাই কর্ণপাত করেনি সরকার সহ স্থানীয় প্রশাসন!!

চুক্তির আগে ও পরে সকল হত্যাকান্ড সন্তু লারমা গংদের নেতৃত্বে হয়েছে। পাহাড়ে অস্ত্রধারী করা তা সন্তু লারমা নিজে স্বীকার করেছে। সকল হত্যাকান্ডের এতোদিনের সকল অভিযোগ সন্তু লারমা গংদেরকে বহন করতে হবে। আমরা যারা বরাবরই অভিযোগ করেছি পাহাড়ে সকল সন্ত্রাসী, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন, গুম JSS-UPDF করে আজ আমাদের কথা সরাসরি প্রমাণিত। প্রশাসন সহ যারা আমাদের দাবি ও অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেছে তারা এখন কেন মুখে কুলুপ এঁটেছেন?? সন্তু লারমার জেএসএস, প্রসিত বিকাশ খিসার ইউপিডিএফ যে সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী তা প্রমাণ করতে আর কিসের প্রয়োজন?? আর কি প্রমাণ দিলে সন্তু গংদের সন্ত্রাসী বল্লে আমাদের উপর মানহানীর অভিযোগ উঠবে না?? আমরা জানি পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসবাদ করা করে। সন্তু লারমা গংদের সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী বল্লে আমাদের নামে মানহানীর মামলা করার হুমকি দেওয়া হয়!! সন্তু লারমা গংদের শতশত অস্ত্রধারী, চাঁদাবাজ গ্রেফতার করার পরেও নাকি তারা সন্ত্রাসী নয়?? এদেশে সন্তু লারমা গংদের অপরাধের শতশত হাজার প্রমাণ থাকলেও সস্ত্রাসী প্রমাণ করা সম্ভব না। কেউ যদি জেগে ঘুমাই তার ঘুম ভাঙানো কঠিন। একচক্ষু দৃষ্টি কখনও পার্বত্য চট্টগ্রাম সংকট সমস্যা সমাধান হবে না।

চুক্তির শর্ত অনুরূপ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি জাতিসত্বার জন্য বিশেষ সুবিধা চালু করেছে। এবং চুক্তির বেশিরভাগ ধারাগুলো বাস্তবায়িত করেছে, বাকী কয়েকটি ধারা বাস্তবায়িত করার প্রতিক্রিয়া চলমান। যার প্রেক্ষিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা অপারেশন বন্ধ করে সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অস্থায়ী ক্যাম্প, জোন প্রত্যাহার করেছে সরকার ইতিমধ্যে। কিন্তু দুঃখজনক হলো সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন করার পরেও শান্তিবাহিনী পার্বত্য চুক্তি কেন লঙ্ঘন করে অস্ত্রধারী সদস্য রাখলো বা বৃদ্ধি করলো??

পার্বত্য বাঙ্গালীদের বড় একটি অংশ এতোদিন ধরে অভিযোগ করে আসছিলো পার্বত্য চুক্তি অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক। পার্বত্য চুক্তি একটি কালো চুক্তি। এই চুক্তি বাতিল দাবিতে অনেক আন্দোলন সংগ্রামও হয়েছে, রক্তও ঝড়েছে। অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। চুক্তির আগে পরেও বহু লোক প্রাণ হারিয়েছে। প্রতিবছর এখনও দাবি ওঠে চুক্তি বাতিল করার। কিন্তু সরকার প্রশাসন বাঙ্গালীদের এমন অভিযোগ আন্দোলন বিন্দুমাত্র কর্ণপাত করেনি।

শান্তিবাহিনী যেহেতু চুক্তি লঙ্ঘিত করে সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে সেহেতু সরকারের উচিৎ শান্তিচুক্তি বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প পূর্ণরায় বৃদ্ধি করে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে অস্ত্রধারী নির্মূল করা। সরকার সেনাবাহিনীর সামনে এখন একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে৷ শান্তিবাহিনীর প্রধান নিজেই স্বীকার করেছে যে, তাদের এখনও কয়েকশত সশস্ত্র রয়েছে। এ সুযোগ সরকার, সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো উচিৎ। এতোদিন সরকার, সেনাবাহিনী সহ স্থানীয় প্রশাসন পার্বত্য অঞ্চলে কোনঠাসা ছিলো চুক্তির কারণে। কিছু করতে গেলে চুক্তির দোহাই দিতো। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলে সেনা প্রত্যাহার দাবি করা সহ বিভিন্ন ভাবে হুংকার দিতো সন্তু লারমা গংরা।

কয়েকশত অস্ত্রধারী রয়েছে তারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন বলে এই প্রথম বারের মতো স্বীকার করেছে শান্তিবাহিনীর প্রধান সন্তু লারমা। সীমিত করেছে, কিন্ত অস্ত্র ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেনি। যুদিও আমরা দীর্ঘদিন থেকে অভিযোগ করে আসছি। শান্তিবাহিনী সরকারকে সব অস্ত্র জমা দেয়নি। শান্তিবাহিনী যদি ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চুক্তি ভঙ্গ করতে পারে তাহলে কেন সরকার শান্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না?? সন্তু লারমা অস্ত্র হাতে নিয়েছে বলার পরেও সরকার সন্তু লারমাকে কি করতে পেরেছে?? তবে কি শান্তিবাহিনীর তৎকালীন কৌশলের কাছে সরকার পরাজিত?? সন্তু লারমার স্বীকারোক্তির পরেও সরকার নীরব ভূমিকায় অবতীর্ণ!!

সন্তু লারমা যদি নিজ মুখে সরাসরি আরো কিছু ও বলে তবুও সরকার বলবে আমরা পার্বত্য চুক্তি সাক্ষর করেছি, আমরা পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করবো। এই থাকবে সরকারের বক্তব্য। সন্তু লারমা, প্রসিত গংদের কাছে সরকার তথা রাষ্ট্র প্রশাসনের নমনীয়তা একদিন পার্বত্য চট্টগ্রাম হারাবে বাংলাদেশ। ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব তিমুর বা দক্ষিণ সুদান হবে পার্বত্য চট্টগ্রাম।

৩৫ হাজার বাঙ্গালী খুনি সন্তু লারমা তথাকথিত শান্তিবাহিনীর গডফাদার পায় এদেশের মন্ত্রী পদমর্যাদা!!

২৫ নভেম্বর ২০১১ সালে ইনডিপেনডেন্ট টিভির শামীমা বিনতে রহমান রাঙ্গামাটি সন্তু লারমার বাসভবনে বসে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে। উক্ত সাক্ষাৎকারের ভিডিও’টি আমাদের ইউটিউবে শেয়ার করা হয়েছে।

আগের পোস্টমধ্যপ্রাচে গৃহযুদ্ধের জন্য আমেরিকা ইউরোপই দায়ী: পোপ ফ্রান্সিস
পরের পোস্টবৌদ্ধ ধর্ম ছেড়ে পাহাড়ি তরুণী মুসলিম বিবাহ করায়, ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণ

১টি কমেন্ট

  1. আপনার মনে হয় পাবনা যাওয়া উচিত।
    একবার পাহাড়ে আসুন দেখতে পাবেন সেনাবাহিনীর নির্যাতন।আপনার তথ্য সম্পূর্ন মিথ্যা।পরবর্তিতে এ ধরনের প্রতিবেদন লিখে সমতলের মানুষদের মনে ভুল ধারনার জন্ম দিবেন না।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন