||নিজেস্ব প্রতিনিধি||
হিল নিউজ বিডি.কম- রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার লংগদু উপজেলার একটি ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বারকে ২৪ এপ্রিল রাত সাড়ে এগারোটায় স্বজাতি ঝংকু চাকমা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন মহিলা মেম্বার নিজেই।
মহিলা মেম্বারকে আইনশৃঙলা বাহিনী খুঁজতেছে বলে কৌশল পূর্বক ঝংকু চাকমা গত ২৪ এপ্রিল লংগদু উপজেলা থেকে সকালে মোবাইল ফোনে খবর দিয়ে রাঙ্গামাটি রিজার্ভ বাজারের গ্রীনহিল হোটেলে আনেন এবং হোটেলের ৩য় তলার একটি রুমে রাখেন। রাতে কোমল পানির সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মহিলা মেম্বারকে ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় মহিলা মেম্বার নিজেই ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য রাঙামাটি সদর হাসপাতালে যায়।
পরে মহিলা মেম্বার বিচারের আসায় উত্তর কালিন্দীপুরস্থ প্রথম আলো অফিসে যায় এবং সন্ধ্যা ৭টায় এজাহার করার জন্য কোতয়ালী থানায় যান বলে জানা যায়। জানা যায়, ভিকটিম একজন সাহসী ও সচেতন নারী জনপ্রতিনিধি। যার কারণে তিনি নিজের উদ্যোগে স্বজাতি ধর্ষকের বিচার দাবিতে অবস্থান নিয়েছেন।
অভিযুক্ত স্বজাতি ধর্ষক লংগদু উপজেলার ছোট কাট্টলী এলাকার ঝংকু চাকমা ওরফে বাবলু (৩৫)। মহিলা মেম্বারের এজাহারের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ঝংকু চাকমাকে আটক করেছে রাঙামাটি সদর কোতয়ালী থানার পুলিশ৷ কোতয়ালী থানার ওসি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধর্ষণকারী ঝংকু চাকমাকে বুধবার (২৫ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বর্তমানে নিরাপত্তার অজুহাতে মহিলা মেম্বার (ভিকটিম) কে রাঙ্গামাটি কোতোয়ালী থানা সংলগ্ন তবলছড়ি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আরো জানা যায়, অভিযুক্ত ধর্ষক ঝংকু চাকমা ওরুফে (বাবলু) (৩৫) দীর্ঘদিন থেকে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে অবৈধ মেলামেশার পাশাপাশি একজনের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ অহরহ।
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সহ একটি মহল বরাবরই অভিযোগ করে থাকে পাহাড়ে সকল ধর্ষণ বাঙ্গালীরা সংঘটিত করে থাকে। বরং স্বজাতি উপজাতীয় কর্তৃক মহিলা মেম্বার ধর্ষণের এই ঘটনা প্রমাণ হয় যে, ধর্ষক শুধু বাঙ্গালী নয়, উপজাতিদের মধ্যেও ধর্ষক রয়েছে। অথচ পাহাড়ে সবধরনের ধর্ষণের জন্য অপবাদ শুধু বাঙ্গালীদের দিয়ে থাকে!!