চাঁদাবাজির ভয়াল প্রকোপে বিধ্বস্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম।

0
94

||মোমিনুল হক||

পার্বত্য চট্টগ্রাম নামটি শুনলেই মনের মধ্যে বাসা বাধে এক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের মানচিত্র। পাহাড়, লেক আর সবুজের হাতছানি প্রকৃতি প্রেমী প্রত্যেক মানুষকেই বিমোহিত করে।
কিন্তু ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলতে হয় দৃষ্টিনন্দন এ পাহাড় আজ উপজাতি সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ।
উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা খেটে খাওয়া হতদরিদ্র মানুষ থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিও।
এই চাঁদাবাজির সাথে সরাসরি জড়িত উপজাতিদের সশস্ত্র ৪ টি সশস্ত্র সংগঠন। যথাক্রমে জেএসএস, ইউপিডিএফ, জেএসএস সংস্কার এবং ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক।
জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী এই ৪টি সংগঠন বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে!
চাঁদাবাজির এই অর্থ কয়েকটি ভাগে ব্যায় হয়। যথাক্রমে
১. সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মাসিক বেতন,
২. বিদেশী বিভিন্ন গ্রুপ থেকে অস্ত্র ক্রয়
৩. উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মদতদানকারী কথিত সুশীলদের মাসিক সম্মানী প্রদান।
৪. সন্ত্রাসীদের সাংগঠনিক কাজে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট ফান্ডে জমা।
৫. বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে চাঁদাবাজির টাকা ব্যায় করা হয়,।

চাঁদাবাজির ভয়াবহতা সম্পর্কে অবগত হওয়ার জন্য সমান্য দু একটি তথ্য উপস্থাপন করছি।
২৫ আগস্ট ২০২০ সালে রাঙামাটির কাপ্তাই লেক থেকে ২৮ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
চাঁদা দিতে না পারায় একই মাসের ২৮ তারিখ থেকে কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় উপজাতি সশস্ত্র সংগঠনগুলো।
শুধু খেটে খাওয়া জেলে নয় রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জননেতা শহিদুজ্জামান মহসিন রোমানের কাছেও উপজাতি সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য থ্রেট দেয়।
সশস্ত্র উপজাতি সংগঠনগুলোর চাঁদাবাজির প্রসংগে রাঙামাটির পুলিশ সুপার উপজাতি সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজ সম্পর্কে এক সাক্ষাতকারে বলেন পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজির কারণ হল আধিপত্য বিস্তার করা।
২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সরাসরি চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে প্রায় ২০৫ জন সশস্ত্র উপজাতি সন্ত্রাসী।
পাহাড়ে চাঁদাবাজির এই ভয়াল প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর কোন বিকল্প নেই।

আগের পোস্টএকক চিত্র প্রদর্শনী শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপারের অংশগ্রহন।
পরের পোস্টকরোনা মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের প্রচেষ্টা ছিল মহাকাব্যিক : আইজিপি

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন