হান্নান সরকার
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প কর্তৃক পরিচালিত কয়েকটি স্কুলে বাঙ্গালী ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি নিষিদ্ধ! ৪ টি স্কুলে সম্পূর্ণভাবে বাঙ্গালী ছাত্র ছাত্রী ভর্তি নিষিদ্ধ, শুধুমাত্র উপজাতি সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
স্কুল গুলো হল:
১. ম্রো আবাসিক বিদ্যালয় সদর, বান্দরবান।
২. রুমা আবাসিক বিদ্যালয়, রুমা বান্দরবান।
৩. আলিকদম আবাসিক বিদ্যালয়, আলিকদম, বান্দরবান।
৪. রাজস্থলী আবাসিক বিদ্যালয়, রাজস্থলী, রাঙামাটি।
ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী প্রকল্প পরিচালক উপসচিব কর্তৃক গত ১৪-০১-২০২১ খ্রিঃ সাক্ষরিত একটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ম্রো আবাসিক বিদ্যালয় সদর, বান্দরবান, রুমা আবাসিক বিদ্যালয়, রুমা বান্দরবান, আলিকদম আবাসিক বিদ্যালয়, আলিকদম, বান্দরবান ও রাজস্থলী আবাসিক বিদ্যালয়, রাজস্থলী, রাঙামাটি স্কুল গুলোতে ২০২১ শিক্ষাবর্ষের ৩য়, ৬ ষষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণীতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির জন্য আবেদন করার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে স্কুলে যদি উপজাতি বাঙ্গালী ভেদাভেদ করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রাম কোন দিকে যাচ্ছে সেবিষয়ে কি আমরা কেউ খেয়াল রাখছি? শুধু স্কুল কলেজ নয় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি সেক্টরে উপজাতি বাঙ্গালী ভেদাভেদ তৈরির জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সহ বেশকিছু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তৎপর। তাদের আর্থিক সাপোর্ট দিয়ে থাকে মিশনারী, তথাকথিত দাতাসংস্থা ও এনজিও গুলো। ইউএনডিপি তো পাহাড়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে আসছে। এমনকি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের এমন সাম্প্রদায়িক মনোভাব এবং বাঙ্গালী বিদ্বেষী শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ না হলে পাহাড়ে উপজাতি-বাঙ্গালী সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে। সরকার, প্রশাসনের উচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে বৈষম্যমূলক পদক্ষেপ এবং গৃহীত পদক্ষেপ গুলো অতিদ্রুত সময়ে বন্ধ করা। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিতে যদিও বাঙ্গালীদের মৌলিক অধিকার হরন করেছে কিন্তু বর্তমানে বিদেশে বিভিন্ন দাতাসংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত হওয়া প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড দ্বিগুণের অধিক বৈষম্য সৃষ্টি করছে!