||রহুল আমিন তুহিন, রাঙ্গামাটি||
আমি সাধারণত চোগলখোরও এইধরনের ছ্যাঁছড়া পোলাপান নিয়ে লিখিনা। এদের নিয়ে লিখারও রুচিবোধ, সময় নেই। একে নিয়ে লেখার কারণ হচ্ছে অতিমাত্রায় ডাবল স্ট্যান্ডবাজি করার কারণে। এই ছ্যাঁছড়া ছেলেটার বাড়ি যতসম্ভব লক্ষীপুর জেলা। প্রবাসে থেকে লেখালেখি করে উপজাতি সন্ত্রাসীদের পাচাটা গোলাম হতে গিয়ে উষ্ঠা খেয়েছে। দেশে আসলে সাদা চামড়ার গন্ধ শুঁকতে পাহাড়ে আসে। পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতিদের জন্য তার দরদ উথলায় পড়তো একসময়। এখনো দরদ উথলায় কমবেশি, ছেলেটির উপজাতি সন্ত্রাসীও সাধারণ উপজাতিদের জন্য মানবতা, প্রীতি, চেতনাবোধ সহ তীব্র ভালোবাসা চরমে ছিলো। যেইটা সেই তাঁর সব লেখায় প্রকাশ করার চেষ্টা করতো। উপজাতিদের পক্ষে লেখালেখি করে সাধারণ উপজাতিদের মনও জয় করে সেই। এই সুবাদে তার সাথে পাহাড়ের অনেক উপজাতি পরিবারের মেয়ে ছেলেদের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এই সম্পর্ক থেকে সেই নিয়মিত পাহাড়ে যাওয়া আসা করতো। একেবারে সেই নিজেকে উপজাতি খাদ্যবাসে মানিয়ে সংস্কৃতিও ধর্মামনা হিসেবে জাহির করতে সবসময় তার লেখায় উপজাতীয়দের বন্দনা তেলবাজি করতো। সবসময় সেই বাংগালী, সেনাবাহিনীও পুলিশকে উত্তেজিত ভাবে গালিগালাজ করা সহ ফেসবুকে তীব্র বাংগালী বিরোধী পোস্ট প্রসব করতো। বৌদ্ধ ধর্মীও ভান্তদের পা ধরে ধরে প্রণাম করতো। এসব করে সহজসরল উপজাতীয়দের মন জয় ও ইউপিডিএফ-জেএসএস’কে নিজের কবজায় এনে উপজাতি মেয়েদের ভোগ করা ছিল তার মূলত উদ্দেশ্য। যেইটা ইউপিডিএফ সমর্থিত পিসিবি’র কিছু সয়তান পোলাপান পূর্বে অনুমান করেছিলো। Riaz Bangali মনে করেছে সেই উপজাতি সন্ত্রাসীদের পক্ষে জয়গান করে তাদের ভিতরে প্রবেশ করবে! কিন্তু এই চোগলখোর, বেশর, ছ্যাঁছড়া এইটা জানে না যে কোনদিনও উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা বাংগালীদের হৃদয়ে জায়গা দেয় না। শুধু মাত্র স্বার্থ ও জরুরী প্রয়োজনে বাংগালীর সাথে ইচ্ছা না থাকার স্বত্বেও তারা কথা বলে যায় অন্তরে বিষ নিয়ে। তবে রিয়াজ বাংগালীর মনের আড়ালে লুকিয়ে ছিল উপজাতি মেয়েদের ভোগ করার প্রবল কাম লালসা। গত ২০১৯ ইং এর প্রথম দিকে সেই রাঙামাটি জেলার বাঘাইছড়ি তুলাবান গ্রামে প্রতিবছরের ন্যায় বেড়াতে আসে। যে ঘরে সেই সবসময় বেড়াতে যায় সেই ঘরে একজন যুবতী মেয়ে রয়েছে৷ উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সহ স্থানীয় পিসিপি ও পার্বত্য পিসিপি’র অভিযোগ ছিল তাকে বিশ্বাস করে যে কথিত আদিবাসী পরিবার অথাৎ যে ঘরে জায়গা দিয়েছে থাকা খাওয়ার জন্য রিয়াজ সে ঘরের একজন যুবতী মেয়েকে জোর করে ধর্ষণ করে। এমনকি Riaz Bangali কথিত আদিবাসী মেয়েকে হুমকি-দামকি দিয়ে ভোগও করে! যদিও রিয়াজ বাংগালী তা অস্বীকার করে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন পরিবারটির সাথে তাঁর সুসম্পর্ক, মেয়েটি তাঁর বোনের মতো। যে পরিবার আশ্রয় ও থাকার স্থান দিয়েছে সমাজের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সেই পরিবারের সঙ্গে এমন বেইমানি কিছুতে তুলবান সমাজের লোকেরা মেনে নিতে পারেনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে তুলবান গ্রামবাসি তাকে এলাকা থেকে বাহির করে দেয়৷ এই নিয়ে তৎকালীন পিসিবি তাকে গণধোলাই দিতে চেয়েছিল ভাগ্যক্রমে সেই বেঁচে যায়৷ এই ঘটনার পর তার বিরুদ্ধে সাধারণ উপজাতিও সন্ত্রাসীরা ফেসবুকে তার মুখোশ উন্মোচন করে দেয়৷ সেই যে এতবছর উপজাতিদের পক্ষে লেখালেখি করেছিল তাঁর রহস্য কারণ সহজে অনুমেয় করে উপজাতিরা। এমনই অভিযোগ করে পিসিপি। এই ঘটনার পরে Riaz Bangali নিজেকে আড়াল করতে ফেসবুক ডিএক্টিভ করে। এতেও সেই কোনরকম বাঁচার পথ পাইনি। কিছুদিন পর পর ফেসবুকে এসে মায়াকান্না করেও লাভ হয়নি। সবকিছু জেনো তাঁর জন্য বিপরীত, উপজাতিরা আর তাঁর লেখা গিলছে না। উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের পিসিপি কর্তৃক নাজেহাল হতে হয়েছে তাকে তাঁর কমেন্ট বক্সে সহ বিভিন্ন জনে তাঁর বিরুদ্ধে করা ফেসবুক পোস্টে গুলোতে। মোটকথা উপজাতিদের মধ্যে যাঁরা যাঁরা তাকে লেখালেখি জন্য যে বাহবা দিতেন তারাও তাকে এখন ঘৃণার চোখে দেখেন। Riaz Bangali পাহাড়ে আসলে একসময় যেভাবে তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিতো তাও বন্ধ করে দিয়েছে সবাই। বিভিন্ন উপজাতি মেয়েদের তাঁর মেসেঞ্জারে হতে পাঠানো কুপ্রস্তাব ফাঁসও করে দেয় পিসিপি৷ এসব কারণে Riaz Bangali কিছুদিন ফেসবুকে লেখালেখি বন্ধ করে দেন। দু’একটা লেখা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ইশারা ইঙ্গিতে লিখেও পেঁদানি খেয়েছিলেন৷ এরপর সবাই ভেবে ছিল এই চোগলখোর ছ্যাঁছড়া Riaz Bangali কিছুটা হলেও পরিবর্তন হবে। কিন্তু না সেই আগের মতো সন্ত্রাসীদের পক্ষে লিখে যাচ্ছে। ২০২০ ইং এর গত আগস্টে আবার পাহাড়ে ঘুরতে এসেছে। সম্ভবত একমাস ছিল পাহাড়ে, কিন্তু এইবার আর তেমন কোন উপজাতি তাকে আগেকার বছরগুলোর মত সময়ও থাকা খাওয়ার ফ্রী সার্ভিস দেয়নি৷ শুনেছি কিছু কিছু এলাকায় ডুকতে চেষ্ঠা করে প্রচুর অপমানিত হয়েছে৷ ব্যাইল্যাছড়ি গ্রামে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে এলাকায় যুবসমাজ অপমানিতও মারধরের চেষ্টা করেছে। লাজ লজ্জাহীন কোন দাওয়াত ছাড়া উপজাতি গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মানুষ খুঁজে সাক্ষাৎ করার জন্য৷ উপজাতিদের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ, দান করার ও মানবিক সেবাদানের লোভ দেখিয়ে থাকা খাওয়া ফ্রী পাওয়ার চেষ্টা তাঁর বহু পুরানো অভ্যাস। Riaz Bangali সাজেকের ৮ নং এলাকায় একটি প্রাইমারি স্কুল করে দেওয়ার কথা দিয়েছিল সাজেক এলাকাবাসীকে। এলাকাবাসী তাঁর কথায় বিশ্বাস করে অনেক বড় আশা নিয়ে অপেক্ষামান। এই যাত্রায় এইবার সাজেক ঘুরতে গিয়ে স্কুল করে দেওয়ার আশ্বাস পূনরায় দিয়ে এলাকার মুরব্বিদের থেকে দারুণ সমাদর লাভ করেছে৷ দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিল, ভালো টাকা পয়সা অর্থসম্পদ রয়েছে এমন নানান লোভ লালসা দেখিয়েছে উপজাতিদের। অসাধু কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক পরিচালিত একটি তথাকথিত মানবিক সংগঠন’কে সেই ৩ হাজার টাকা দান করে বহু বাহবা কুড়ানোর পাশাপাশি নারী পটানোরও চেষ্টা করে বলেও জানা যায়। এই নিয়ে ফেসবুকে উভয় পক্ষের পোস্ট রয়েছে। সেই আগস্ট মাসের প্রথম থেকে শুরু করে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি ১মাস ভ্রমণ করে। ভ্রমণ শেষ করে লক্ষীপুর ফিরে আসে বলেও জানা যায়৷ বাঘাইছড়ি সাজেক ৮নং এলাকাবাসীকে ২০০৮ সালে স্থাপিত হওয়া বেসরকারি একটি প্রাইমারি স্কুলকে নতুন আঙ্গিকে নির্মাণ করে দেওয়ার কথা দিয়ে এসেছে সেই। এখন তাকে সাজেকের মুরব্বিরা কল দিলে আর সেই ফোন রিসিভ করেনা! এমন অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে! সেই আশ্বাস দিয়ে এতোদিন পরে এখন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রকাশ করতেছে স্কুল নির্মাণ করতে ৫ লাখ টাকা লাগবে, এতো টাকা সেই কোথায় পাবে? তাই এখন আর কেউ ফোন করলে রিসিভ করেনা। সর্বশেষ সেই জানালো স্কুল নির্মাণের জন্য নাকি সেই আবার পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুের কাছেও সুপারিশ নিতে গেছেন স্থানীয় এক মুরব্বি ও শিক্ষক’কে নিয়ে! বীর বাহাদুর এমপি বান্দরবান (পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী) সুপারিশ করে দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
ছবি এডিট করে অপপ্রচার
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পরিষদ নামে অঞ্চল ভিত্তিক একটি সংগঠন যাত্রা শুরু করে ২০১৯ ইং এর শেষদিকে। এই সংগঠনটি পার্বত্য ভূমি কমিশনের সংবিধান বিরোধী কিছু বির্তকিত আইন নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে কর্মসূচী পালন করে৷ এতে উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেও কিছু ব্যানার ফেস্টুন করেন। সুযোগ সন্ধানীও অপপ্রচারকারীরা এর মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের একটা ব্যানারের মূল লেখাকে ফটোশপ করে এডিট পূর্বক রোহিংগাদের জন্য নির্ধারণ করা ভাসারচর পার্বত্য বাংগালীদের নেওয়ার দাবি করা হয়। এই ফটোশপ যে করুক না কেন Riaz Bangali এই ফটোশপ এডিট ব্যানার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে মানুষের মধ্যে পার্বত্য বাংগালীকে নিয়ে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করতে তৎপর। এইধরনের কারসাজি মূলক ফটোশপ ব্যানার পোস্টও তাঁর উস্কানিমূলক সাম্প্রদায়িক পোস্টের কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি সম্প্রীতি বিনষ্ট হবে। এইজন্য Riaz Bangali বিরুদ্ধে ব্যানার এডিট করে অপপ্রচার করার কারণে মামলা দেওয়া উচিত৷ পোস্টের লিংক…
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=594269731477213&id=100026825741368
এই রিয়াজ বাংগালীদের মতো কিছু কুলাঙ্গার পার্বত্য বাংগালীও সেনাবাহিনী নিয়ে সবসময় জঘন্যতম মিথ্যাচারে লিপ্ত রয়েছে৷ পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয়দের আদিবাসী হিসেবে লেখালেখি করা সহ পাহাড়ে বাংগালী কর্তৃক উপজাতি ভূমি দখল ও নির্যাতনের বানোয়াট তথ্য রটিয়ে দেওয়াই তার মূল কাজ৷ এরা কোনভাবে পার্বত্যাঞ্চলের সাধারণ উপজাতি-বাংগালীর জন্য মঙ্গলময় নয়। এরা সুবিধা ভোগ করতেও সাদা চামড়ার নারী ভোগ করতে পার্বত্য বিষয় নিয়ে এতো আবেগ মায়াকান্না করছে৷