পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগ ইতিহাসের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

0

||রকিবুল হাসান, খাগড়াছড়ি||

১৫ নভেম্বর ২০২০ খ্রিঃ

সেনাবাহিনী সুনামধন্য একটি সু প্রতিষ্ঠিত ও সুশৃঙ্খলা বহৎ বাহিনী, তাদের বিরুদ্ধে কারো থেকে টাকা নেওয়ার মতো এমন অভিযোগ হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়। তাদের নামে এমন কুৎসা রটনা দেশপ্রেমিক জনতা মেনে নিবে না। ইতোমধ্যেই প্রমাণিত যে, সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি, খুন-গুম, ধর্ষণে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠে গেছে। অবৈধ অস্ত্র নিয়ে সাধারণ মানুষদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবাদ কায়েম করার মাধ্যমে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে বেঘাত ঘটানোর ষড়যন্ত্র পার্বত্যবাসী বুঝে গেছে। সাধারণ পার্বত্যবাসীর ভরসা ও বিশ্বাসের অপর নাম সেনাবাহিনী। পবিত্র পার্বত্য ভূখণ্ড রক্ষার্থে ৬১৩ জন তরুণ সেনা অফিসার সহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী  বাহিনীর সদস্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে। এ সেনাদের এ জীবন বিনিময়ে আজকের পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংগালী সহ রাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার। বিচ্ছিন্নতাবাদী ও তাদের এদেশীয় দোসরা এটা কোনদিন স্বীকার করবে না। আর দেশীয় বুদ্ধিজীবি ও নীতিনির্ধারকেরা এটা বুঝে না যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করলে অবৈধ অস্ত্রধারী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলার ভূখণ্ড কেড়ে নিতে জুম্মাল্যান্ড নামক নতুন রাষ্ট্র গঠন করবে।

পার্বত্য হতে সেনা প্রত্যাহারের জন্য নতুন নতুন মিথ্যাচার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রটিয়ে মানুষের মনে এবং রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের মনে সেনাবাহিনীর প্রতি আক্রোশ সৃষ্টি করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ঢালাওভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।

ইউপিডিএফ কর্তৃক প্রকাশিত নিবন্ধনবিহীন কথিত অনলাইন পোর্টাল #chtnews সর্বদা কুৎসা, প্রোপাগান্ডা, গুজব, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিয়ে সম্প্রীতি বিনষ্ট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অরক্ষিত করতে সেনাদের প্রত্যাহার করার ছক কষে এধরণের নির্লজ্জ জঘন্য ও কাল্পনিক মিথ্যাচার রটিয়ে দিচ্ছে। এমন মিথ্যা কল্পকাহিনীতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোন সুযোগ নেই। দেশদ্রোহী বেজন্মা কুলাঙ্গার গুলো দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নিয়ে একেরপর অবান্তর কথা সামাজিক মাধ্যমে রটিয়ে ফায়দা লুটে নেওয়া জন্য দীর্ঘদিন হতে তৎপর। চাঁদাবাজি করতে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে একটি বাড়িতে ১৫ নভেম্বর ভোর রাতে অবস্থান নিলে সেনারা গোপন তথ্যের ভিত্তিকে উক্ত বাড়িতে অভিযান চালাতে চেষ্টা করলে লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায় বিচ্ছিন্নতাবাদী ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা। চাঁদাবাজিতে বর্থ্য হয়ে মিথ্যা গুজব রটিয়ে দিয়ে সাধারণ মানুষকে চোখে ধুলো দিতে প্রচেষ্ঠা করছে। খাগড়াছড়ি দিঘীনালায় সেনা কর্তৃক টাকা নেওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সেনা প্রত্যাহার ও সেনা অভিযান ঠেকাতে এমন জঘন্য কুৎসা রটানো হচ্ছে বারবার। সেনাবাহিনী সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জনমানুষের বিশ্বাসী একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী।

অপপ্রচারের লিংক…

https://www.facebook.com/1374244922813560/posts/2724905494414156/
আগের পোস্টইউপিডিএফ-এর নামে পার্বত্যাঞ্চলের থানা গুলোতে পাঁচ শতাধিক মামলা রয়েছে প্রায়!
পরের পোস্টআমি সাধারণত চোগলখোরও রিয়াজ বাঙ্গালীর মতো ছ্যাঁছড়া পোলাপান নিয়ে লিখিনা।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন