||মোবারক হোসেন||
গত ১০ ফেব্রুয়ারী হতে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ উপজাতিদের থেকে জোর পূর্বক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে চাঁদা আদায় শুরু করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কতিপয় উশৃংখল ছাত্র সংগঠন। আসছে ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক স্ব-স্ব মাতৃভাষা শিক্ষা চালু কর। এ স্লোগান সামনে রেখে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভাষাভাষী জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষার্থে র্যালি ও ছাত্র সমাবেশের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপনের কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বলে দাবি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কতিপয় উশৃংখল সংগঠনের। এরা কিন্তু একসময় মাতৃভাষা দিবস বর্জন করে নাশকতা করেছিলো! এখন আবার এরাই দিবসটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে চাঁদাবাজির জন্য। আসলে এরা পাহাড়ে কি চায়? কখনো কখনো পার্বত্য চুক্তির বিরোধিতা করে আবার কখনো চাঁদাবাজির ক্ষেত্র তৈরির জন্য পার্বত্য চুক্তির দোহাই দেয়! জাতির অধিকারের দোহাই দিয়ে আর কতকাল পাহাড় অশান্ত রাখবে তারা? অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম রাষ্ট্রের মূল ভূখন্ড হতে বিচ্ছিন্ন করতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে তারা। তাদের এসমস্ত ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে অচিরেই রাষ্ট্র এ দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক উপজাতি দমন করতে পস্তাতে হবে।
বলাবাহুল্য যে,
২১ ফেব্রুয়ারী উপলক্ষেই এমন দাবির কর্মসূচী পালন করতে বেশি টাকার প্রয়োজন হবার কথা নয়। অথচ এ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে গণহারে চাঁদাবাজি শুরু করেছে সন্ত্রাসীরা! সরেজমিনে কয়েকটি উপজাতি গ্রামে ঘুরে সন্ত্রাসীদের জোর পূ্বক চাঁদাবাজির ভয়াবহ আচরণের বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করে দেখা গেছে মানুষের অনিচ্ছা সত্ত্বেও চাঁদা আদায় করা হচ্ছে৷ কারো থেকে ৫০ হাজার, কারো থেকে ২০ হাজার, কারো থেকে ১০ হাজার, কারো থেকে ৫ হাজার, কারো থেকে ২ হাজার পর্যন্ত জোর পূর্বক অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আদায় করা হয়। সমবিকাশ চাকমা নামের একজন জানান, সে গরীব খেটে খাওয়া মানুষ, অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার জন্য ২ হাজার টাকা যোগাড় করেছেন। গতকাল সন্ত্রাসীরা আসলে এ দুই হাজার টাকা চাঁদা দিতে তিনি বাধ্য হন। এরকম অহরহ সাধারণ গরীব অসহায় উপজাতি হতে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন কর্মসূচীর নামে কোটি কোটি টাকা পাহাড় হতে চাঁদাবাজি করে। এসব চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে অবৈধ অস্ত্র ক্রয়, সাংগঠনিক পরিচালনা, বেতন বাতা ও এদেশের তথাকথিত গণমাধ্যম, কথিত বুদ্ধিজীবি সহ রামবামদের দেওয়া হয়।
পাহাড়ের চাঁদাবাজি নিয়ে পাঠক মহল ইতোমধ্যে অসংখ্য প্রতিবেদন দেখেছেন, কিভাবে জোর পূ্র্বক চাঁদাবাজি করা হয় তা কতটা অমানুষিক সেটা অনেকেরই জানার কথা৷ এ সন্ত্রাসবাদ ও চাঁদাবাজি হতে কবে নাগাদ পার্বত্যবাসী মুক্তি পাবে কেউ জানে না!