আজ মানবজাতির রক্তপিপাসু সন্তু লারমা স্যারের জন্মদিন৷

0

|আহসান হাবীব জিতু, বরকল ভূষণ ছড়া হতে|

১৯৪৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী সন্তু লারমা স্যার পৃথিবীতে আগমণ করেন মানবজাতির রক্ত চুষে খেতে। সন্তু লারমা স্যার বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) এর সভাপতি, অথাৎ তথাকথিত শান্তিবাহিনীর প্রধান। সরকার ও সন্তু লারমা স্যার মধ্যকার ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির’ শর্ত মোতাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তু লারমা স্যার!’ সন্তু লারমা স্যার বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদাবান ব্যক্তি। কিন্তু স্যার এখন পর্যন্ত এদেশের জাতীয় পরিচয় পত্র বহন করেনননি!! স্বাধীনতা দিবস এবং বিজয় দিবসের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে স্যার শহীদ মিনারে জান না কখনো!

স্যারের তথাকথিত শান্তিবাহিনীর হাতে ৪০ হাজারের অধিক নিরস্ত্র বাঙালি নিহত হয়। পার্বত্য ইতিহাসে স্যারের নাম আজীবন স্বজন হারা বাঙ্গালীদের মনে থাকবে৷ পার্বত্য চট্টগ্রামে সংগঠিত গণহত্যা গুলোর জন্য স্যারকে হতভাগা পার্বত্য বাঙ্গালীরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে বর্থ্য হয় সরকারের অসাংবিধানিক পার্বত্য চুক্তির কারণেই! পার্বত্য বাঙ্গালীরা একালে স্যারকে বিচারের কাঠগড়ায় আর দাঁড় করাতে পারবে না। হাজার হাজার নিরস্ত্র উপজাতি বাঙ্গালীর মায়ের বুক খালি করেছে সন্তু লারমা স্যারও ওনার সশস্ত্র জনবল এবং নেতাকর্মীরা। পার্বত্য ইতিহাস কখনো স্যারকে ক্ষমা করবে না। স্যার পার্বত্য চুক্তির পরেও অবৈধ অস্ত্র পরিহার না করে এখনো সশস্ত্র জনবল নিয়ে পার্বত্যােঞ্চল ত্রাস সৃষ্টি করে যাচ্ছে! এখনো অবৈধ অস্ত্র থাকার কথাটি স্যার নিজেই ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক শামীমা বিনতে’কে তার বাসভবনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০১১ সালে অকপটে স্বীকার করেছেন।

ইতিহাস বলে অশিক্ষিতরাই অবৈধ অস্ত্র নিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদে জড়িত থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাস সম্পূর্ণ ভিন্ন৷ সন্তু লারমা স্যার, ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর পাশ করেন। স্যার বাংলাদেশ জন্ম হওয়ার আগ হতে শিক্ষিত। স্যারের মতো শিক্ষিতরা যখন অস্ত্র হাতে নেয় তখন বুঝতে হবে স্যারেরা সুশিক্ষিত নয়, স্যারেরা কুশিক্ষায় শিক্ষিত।

আগের পোস্টপাহাড়ের কান্না দেখার কেউ নেই!!
পরের পোস্টএই দেশদ্রোহীর নাম লিটন চাকমা, জাতীয়তা পরিচয়ে বাংলাদেশী না, জাতীয়তা জুম্ম!!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন