কথিত সুশীলদের রাষ্ট্রদোহী কর্মকাণ্ডে উদ্ভুদ্ধ উপজাতী সন্ত্রাসীরা এবং প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে দেশের স্বার্বভৌমত্ব।

0

||এম. কে আনোয়ার, পার্বত্য চট্টগ্রাম||

ভৌগলিক এবং অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় পার্বত্য চট্রগ্রাম বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষের মিলনমেলায় পার্বত্য চট্রগ্রাম দেশের ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
দেশের অপার সম্ভাবনাময় এ অঞ্চলটি নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র চলছে যার মদদ দিচ্ছে দেশীয় কিছু ভাড়াটিয়া বুদ্ধিজীবীরা।
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে অন্যতম হল খ্রীষ্টান মিশনারিরা।
দক্ষিণ এশিয়ার ৭ টি দেশের মধ্যে খ্রীষ্টান অধ্যুষিত কোন দেশ নাই।খ্রীষ্টান মিশনারিদের টার্গেট হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করা।তাদের বিচার বিশ্লেষনে বাংলাদেশের পার্বত্যচট্টগ্রাম হচ্ছে সর্বোত্তম অঞ্চল যেখানে একটি খ্রীষ্টান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
খ্রীষ্টান মিশনারিরা তাদের লক্ষ প্রতিষ্ঠিত করতে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। বাংলাদেশের কিছু ভাড়াটিয়া বুদ্ধিজীবীকে কাজে লাগিয়ে খ্রিস্টান মিশনারিরা উপজাতীদের অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মান্তরনের কাজ শুরু করে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটিতে বর্তমানে ১৯৪টি গির্জা উপজাতিদের ধর্মান্তরিত করে খ্রিস্টান বানানোর ক্ষেত্র মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এ গির্জাগুলোকে কেন্দ্র করে দেশি বিদেশি এনজিও এবং অন্যান্য সংস্থা ও দেশীয় কিছু ভাড়াটিয়া বুদ্ধিজীবী তাদের সব তৎপরতা চালায়।
এনজিওগুলোর মাঝে খাগড়াছড়িতে রয়েছে ক্রিশ্চিয়ান ফ্যামিলি ডেভেলপমেন্ট অব বাংলাদেশ (সিএফডিবি), বাংলাদেশ ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ফেলোশিপ, খাগড়াছড়ি জেলা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ফেলোশিপ, ক্রিশ্চিয়ান সম্মেলনকেন্দ্র খাগড়াছড়ি, সাধু মোহনের পল্লী, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন, ক্রাউন ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ইত্যাদি। খাগড়াছড়ি জেলায় গির্জা রয়েছে ৭৩টি। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এ জেলায় ৪ হাজার ৩১টি পরিবার খ্রিস্টান হয়েছে। সরকারি একটি প্রতিবেদনে বান্দরবান জেলা বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে, জেলায় ১১৭টি গির্জা রয়েছে। এখানে খ্রিস্টধর্ম বিস্তারে কাজ করছে ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ (সিসিডিবি), গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন (গ্রাউস), কারিতাস বাংলাদেশ, অ্যাডভেন্টিস চার্চ অব বাংলাদেশ, ইভেনজেলিক্যাল ক্রিশ্চিয়ান চার্চ ইত্যাদি। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১০ পর্যন্ত এ সংগঠনগুলো বান্দরবানে ৬ হাজার ৪৮০টি উপজাতি পরিবারকে খ্রিস্টান পরিবারে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছে।
রাঙামাটিতে ক্যাথলিক মিশন চার্চ, রাঙামাটি হোমল্যান্ড ব্যাপ্টিস্ট চার্চ ও রাঙামাটি ব্যাপ্টিস্ট চার্চ প্রায় ১ হাজার ৬৯০ উপজাতি পরিবারকে খ্রিস্টান পরিবারে পরিণত করেছে। এগুলো তুলনামূলকভাবে হাল আমলের হিসাব। পাহাড়ি যেসব জনগোষ্ঠীর লোকসংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম, তাদের প্রায় শতভাগ খ্রিস্টান হয়ে গেছে অনেক আগেই।

মিশনারি প্রতিষ্ঠানগুলো ধর্মান্তরিত করে লোকবল বৃদ্ধির পাশাপাশি উপজাতী সশস্ত্র জংগি সংগঠনগুলোর অস্ত্র যোগানে অর্থায়ন করে দেশের বিরুদ্ধে লেলিয় দিচ্ছে।আর দেশীয় কিছু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধিরা খ্রীষ্টান মিশনারি কর্তৃপদ সামান্য অর্থের লোভে বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলোকে মদদ দিচ্ছে যা সরাসরি রাষ্ট্রদোহী।
কথিত সুশীলদের এরুপ কর্মকাণ্ডে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে অনেকটা উজ্জীবিত হয়।
দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় তথাকথিত সুশীলদের পার্বত্য চট্রগ্রামে প্রবেশে বিধিনিষেধ প্রয়োগ করতে হবে। ২

আগের পোস্টসংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ধারা সমূহ সংশোধন না করে শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ণ জনগণ মানবেনা।
পরের পোস্টউপজাতিরা সর্বত্র জায়গা কিনতে পারলে সমতলের বাংগালীরা কেন পাহাড়ে জায়গা কিনতে পারবে না?

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন