তাপস কুমার পাল, খাগড়াছড়ি
পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিক্ষিপ্ত তাণ্ডবলীলা যখন চরম পর্যায়ে পৌছিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চয়ে যায়, তখন সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ১৯৮৪ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার প্রায় ২৮ হাজার পার্বত্য বাঙালি জনগোষ্ঠীকে নিজ বসতবাড়ি থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে তথা গুচ্ছগ্রামে আবদ্ধ করে।
নিরাপত্তার অজুহাতে পার্বত্য বাঙালিদের নিজ ভূমি থেকে সরিয়ে নিয়েছে বটে, কিন্তুু নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয় সরকার। ১৯৮৪ সালে গুচ্ছগ্রাম গঠিত হওয়ার পরও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি পাহাড়ের নিরহ বাঙালিরা। বিক্ষিপ্তভাবে চলতেই থাকে উপজাতি সন্ত্রাসীদের হত্যাযজ্ঞ।
১৯৯৬ সালে লংগদু উপজেলায় গণহত্যা চালিয়ে ২৮ জন কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করে শন্তু লারমার লালিত উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
তারি তারি তারই প্রেক্ষিতে পাহাড়কে শান্ত করতে কুখ্যাত খুনি সন্ত্রাসী শন্তু লারমার সাথে ১৯৯৭- ২ ই রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষর করে তৎকালীন আওয়ামীলী সরকার।
চুক্তির পর ট্রাস্কফোর্স গঠন করে পূনর্বাসনের নামে ভারত থেকে প্রশিক্ষত উপজাতি কিলারদের পাহাড়ে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়।
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যাদেরকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হল তারাই আজ নিরাপত্তাহীনতায়।
ট্রাস্কফোর্স গঠন করে সরকার ভারতীয় উপজাতি কিলারদের পার্বত্য চট্টগ্রামে পুনর্বাসন করলেও ২৮ হাজার বাঙালি গুচ্ছগ্রামবাসীকে তাদের নিজ ভূমিতে স্থলাভিষিক্ত করার জন্য আজো কোন কার্যকর উদ্দ্যোগ নেয়নি।
নামে মাত্র ৮৬ কেজি ত্রানের মাধ্যমে ভুমিহীন করে রাখা হয়েছে গুচ্ছগ্রামবাসীদের।
পাহাড়ের গুচ্ছগ্রামে আবদ্ধ বাঙালিরা গুচ্ছগ্রাম নামক বন্দিশালা থেকে মুক্তি পেতে চায়,ফিরে যেতে চায় পার্বত্য চট্টগ্রামে তাদের নিজস্ব ভূমিতে।
বৈধ কাগজ পত্র থাকা সত্ত্বেও জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সরকারের কাছে আমাদের দাবী, ২৮ হাজার পার্বত্য বাঙালির ভবিষ্যত অনিশ্চয়তার হাত থেকে রক্ষা করতে তাদের নিজ ভূমিতে ফিরিয়ে নেয়ার দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।গুচ্ছগ্রাম নামের অভিশাপ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের২ ৮ হাজার বাঙালিকে মুক্তি দিন।