দিন যত যাচ্ছে পাহাড়ের উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের তৎপরতা ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।সন্ত্রাসীরা আগের মত এখন আর জংগলের মধ্যে সিমাবদ্ধ নেই।প্রশাসনের নিরাপত্তার বলয় ভেঙে উপজাতি সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন জায়গায় চালাচ্ছে সশস্ত্র হামলা।রেহাই পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও।
পার্বত্য অঞ্চলে বেপরোয়াভাবে সন্ত্রাসীদের উত্থান হলেও এর লাগাম টেনে ধরারা জন্য নেই পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাহাড় থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প উঠিয়ে নেয়ায় পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটে।
সেনা ক্যাম্প উঠিয়ে নেয়ার সুযোগে পাহাড়ের উপজাতি সন্ত্রাসীরা এখন নির্দ্বিধায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।
সেনা ক্যাম্প তুলে নেয়ার ফলাফল হিসেবে এখন প্রকাশ্য দিবালোকে উপজেলা পরিষদের মত পুলিশি এলাকায় সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা চালায়!
সন্ত্রাসীদের হাত কত শক্ত হলে অব্যাহত ভাবে এরুপ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে?একটু ভাবুন।
সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসেবে গতকাল দুপুর ১২:৩৫ মিনিটে বাঘাইছড়ি পিআইও অফিসে ঢুকে সময় বিজয় চাকমা নামের এক ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।
নিজত সময় বিজয় চাকমা উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ জে এস এস (এম এন লারমা)গ্রুপের সমর্থক।
প্রকাশ্য দিবালোকে পিআইও অফিসের মত জায়গা যখন অনিরাপদ তখন পাহাড়ের অন্যান্য জায়গার অবস্থা কত জটিল?
পাহাড়ের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে মানুষের জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে, পাহাড়ের অলিতে গলিতে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন ছাড়া বিকল্প নাই।
সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অস্থিতিশীল পার্বত্য অঞ্চলে মানুষের জান মালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে অন্তত প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করুন।
অবৈধ অস্ত্রধারী এবং উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুক্ত করতে অনতিবিলম্বে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী গঠন করে পাহাড়ের প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে চিরনি অভিযান পরিচালনা করুন।
অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামকে পূর্ব-তিমুর অথবা দক্ষিণ সুদানের ভাগ্যবরণ করতে হবে।