হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে উত্তাল পাহাড়, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সেনা ক্যাম্প স্থাপনের জোর দাবী।

0
170

||তাপস কুমার পাল||

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতি সন্ত্রাসীদের ভায়াবহ সশস্ত্র তৎপরতায় উদ্বিগ্ন পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আতঙ্কে জনসাধারণ।
উপজাতি জংগীদের অবস্থা এতটাই ভায়াবহ যে,নিরাপত্তা বাহিনীর বেষ্টনী ছেদ করেও সশস্ত্র হামলা চালাতে তারা সক্ষম। যার জলন্ত প্রমান গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং বাঘাইছড়ি পি আইও অফিসে ডুকে ইউপি সদস্য সময় বিজয় চাকমাকে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করা।তারি পরিপ্রেক্ষিতে সর্বমহলে আবারো দাবি উঠেছে জননিরাপত্তার স্বার্থে পাহাড়ে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।
পাহাড়ের রাজপথ প্রতিবাদে মুখরিত, দাবী একটাই অবিলম্বে পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধি করতে হবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি রোজ রবিবার রাঙামাটি এবং বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও তার অঙ্গসংগঠন। বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া নেতারা দাবি করেন, পার্বত্য এলাকায় জেএসএস ও ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অব্যাহত রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্তে কিছু দুর্গম এলাকা রয়েছে। পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ যে অস্ত্র ব্যবহার করে তা সীমান্তের ওই দুর্গম এলাকা দিয়ে বাহির থেকে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে।

সশস্ত্র জঙ্গী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটাতে ভারী অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে। জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সশস্ত্র শাখা এক হয়ে জুম্ম লিবারেশন আর্মি (JLA) গঠন করেছে, তারা এখন ‘সেকেন্ড ফেজ ইনসারজেন্সি’ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করছে। সীমান্তের ওপারে গড়ে তুলেছে ১৪টি ক্যাম্প। গত এক বছরে মূল জেএসএস এবং ইউপিডিএফের সশস্ত্র রাজনৈতিক শাখার সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রায় ৮০ জন সন্ত্রাসী লিডার তাঁদের পরিবারের সদস্যদের পাশের কয়েকটি দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর কাছ থেকে সম্প্রতি যেসব অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তাতে তাদের ভারী অস্ত্র সংগ্রহের প্রমাণ মিলছে। গত বছর ২৮ নভেম্বর ২০২০ এ সকালে বাঘাইহাটে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দল জেএসএস এর গোপন আস্তানা থেকে সেনাবাহিনী দুটি একে-৪৭ ও একটি এসএমসি উদ্ধার করে। এর আগে এলএমজি, ৭.৬২ মিলিমিটার রাইফেল, এম-১৭ রাইফেল, জি-৩ রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, মর্টার, হ্যান্ড গ্রেনেড ও রকেট লঞ্চার উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।

বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে, চলমান হত্যাযজ্ঞ বন্ধে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা ক্যাম্প বৃদ্ধির বিকল্প নাই।

আগের পোস্টপাহাড়ে সেনাদের ছেড়ে আসা ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন হবে।
পরের পোস্টপ্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পের স্থানে পুলিশ মোতায়েনের পরিকল্পনা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন