নিরাপত্তা ঘাটতি দেখা দিলে সেনা ক্যাম্পের স্থানে অবশ্যই সেনা ক্যাম্প বসাতে হবে।
||তাপস কুমার পাল, রাঙ্গামাটি ||
গত ২৮ ফেব্রুয়ারী সন্তু লারমা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠকের পর সাংবাদিক ব্রিফিং-এ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাক্যাম্পের প্রত্যারকৃত স্থানে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান। এই বিষয়টি জেনে সমগ্র পার্বত্য বাসী হতাশ হয়েছেন।
পাহাড়ে উপজাতি সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে যেখানে সামরিক বাহিনী অনেক ক্ষেত্রে দিশেহারা হয়ে যায়, সেখানে পুলিশের মত আধাসামরিক বাহিনী দ্বারা সন্ত্রাস নির্মূলের চিন্তা করা নির্ভেজাল বোকামি ছাড়া কিছুই না।
উপজাতি সন্ত্রাসীদেরকে দেশের স্বাভাবিক সন্ত্রাসীদের মত ভাবলে ভুল হবে। উপজাতি সন্ত্রাসীদের মদতদানকারী অসংখ্য আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।যেই প্রতিষ্ঠানগুলো উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে বিভিন্ন ভাবে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে।
যার সত্যতা মিলে উপজাতি সন্ত্রাসীদের থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রের নমুনা দেখে।গত বছর ২৮ নভেম্বর ২০২০এ সকালে বাঘাইহাটে আঞ্চলিক সন্ত্রাসী দল জেএসএস এর গোপন আস্তানা থেকে সেনাবাহিনী দুটি একে-৪৭ ও একটি এসএমসি উদ্ধার করে। এর আগে এলএমজি, ৭.৬২ মিলিমিটার রাইফেল, এম-১৭ রাইফেল, জি-৩ রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, মর্টার, হ্যান্ড গ্রেনেড ও রকেট লঞ্চার উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।
উপজাতি সন্ত্রাসীরা অনলাইনে হামেশাই দেখা যায় ইজরাইলের প্রশংসা করতে, এর থেকে ধারণা করা হচ্ছে উপজাতি সন্ত্রাসীদের সাথে মোসাদের গোপন সম্পর্ক বিদ্যমান।
ভায়াবহ এই উপজাতি সন্ত্রাসীদের দমনে আধাসামরিক বাহিনী দ্বারা কখনো সম্ভব না। সন্ত্রাস দমনে সরকারের যদি সত্যিই স্বদিচ্ছা থাকে, তাহলে পাহাড় থেকে প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্প গুলো পুনঃস্থাপনের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অবশ্যই সেনা ক্যাম্প প্রতিষ্ঠা করতে হবে।