অস্থিত্ব সংকটে পাহাড়।

0

||তাপস কুমার পাল ||

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান অস্থিতিশীল অবস্থা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে।পরিত্যাক্ত সেনা ক্যাম্পের স্থানে সেনাবাহিনীর পরিবর্তে পুলিশ মোতায়নের সরকারি সিদ্ধান্তে রাষ্ট্রদোহী সন্ত্রাসীরা প্রশান্তির ঢেকুর তুলছে।
কারণ, রাষ্ট্রদ্রোহী উপজাতি সন্ত্রাসীরা পুলিশ প্রশাসনকে কোন পরোয়া করেনা।পুলিশি নিরাপত্তা বেষ্টনী তোয়াক্কা না করে অসংখ্য সন্ত্রাসী হামলার অভিজ্ঞতা রয়েছে জে এস এস, ইউ পি ডি এফ নামক উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর।থানার ৮/১০ গজ দুর থেকেই উপজাতি সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছিল উপজাতিদের স্বজাতি ভাই এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এড.শক্তিমান চাকমাকে।
কিছুদিন আগেই বাঘাইছড়িকে পি আইও অফিসে ডুকে সময় বিজয় চাকমা নামের (ইউপি সদস্য) প্রতিপক্ষের লোককে হত্যা করছিলো সন্ত্রাসীরা।
এরুপ অসংখ্য হত্যাকাণ্ড রয়েছে যা পুলিশের সামনাসামনিই ঘটিয়েছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
এমন বাস্তবতার পরেও সরকার যদি সেনা ক্যাম্পের স্থানে পুলিশ মোতায়েন করে তাহলে চরম সংকটে পরবে পাহাড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

সেনাবাহিনীর পরিবর্তে পুলিশ মোতায়েন করলে বেড়ে যাবে চাঁদাবাজদের প্রবণতা,চাঁদাবাজির অত্যাচারে বন্ধ হয়ে যাবে অসংখ্য ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান,ভেঙে পড়বে পাহাড়ের অর্থনীতির চাকা।
সেনাবাহিনীর পরিত্যাক্ত ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন করলে সন্ত্রাসীদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বাঙালিরাও হয়ে উঠতে পারে প্রতিশোধ পরায়ণ।
লেগে যেতে পারে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা।

সেনাবাহিনীর অনুপস্থিততে উপজাতি সন্ত্রাসীরা তাদের স্বপ্নের জুম্মল্যান্ড বাস্তবায়ণে একধাপ এগিয়ে যাবে আর বাংলাদেশ হারাবে দেশের একদশমাংশ ভূমি।

অস্থিত্বের সংকটে থাকা পাহাড়কে স্বাভাবিক অবস্থানে ফিরিয়ে আনতে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে তা হল,প্রত্যাহারকৃত সেনা ক্যাম্পে পুলিশ নয় অবশ্যই সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বসাতে হবে এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নতুন করে সেনাক্যাম্প বসাতে হবে।

আগের পোস্টপার্বত্য বাঙ্গালি জনগণের সাথে রাস্ট্র, প্রশাসন কানামাছি খেলেছে!
পরের পোস্টসমরে আমরা, শান্তিতে আমরা,সর্বত্র আমরা দেশের তরে- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন