প্রেস রিলিজঃ ১১ মার্চ ২০২১ ( বৃহস্পতিবার)
দীঘিনালা সেনাবাহিনী কর্তৃক অভিযান পরিচালনায় ইউপিডিএফ (মুল) দলের সশস্ত্র গ্রুপের একজন সন্ত্রাসী অস্ত্র, গোলাবারুদ ও চাঁদার টাকা সহ আটক।
স্থানীয় সন্ত্রাসী দলের হত্যা, চাদাঁবাজি ও বিভিন্ন সন্ত্রাসীমুলক কর্মকান্ডে সাধারণ জনগণের জীবন যাত্রা দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এহেন কর্মকান্ড র্নিমূলের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কর্তৃক গোয়েন্দা ও অপারেশন কার্যক্রম বৃদ্ধি করার ফলশ্রুতিতে গত ০১ মার্চ ২০২১ তারিখ দীঘিনালা সেনা জোন কর্তৃক একটি সফল অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ইউপিডিএফ (মুল) দলের সশস্ত্র গুরুপের ৪ জন শীর্ষ সন্ত্রাসীকে অস্ত্র, গোলাবারুদও বিপুল পরিমান চাদাঁর টাকাসহ আটক করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ মার্চ ২০২১ তারিখ গভীর রাতে গভীর রাতে বিশেষ গোয়েন্দা সুত্রের মাধ্যমে দীঘিনালা জোন ১ জন সশস্ত্র ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীর চলাচলের তথ্য প্রাপ্ত হয়। তথ্যেও সত্যতা যাচাই সাপেক্সে জোনের অধীনস্থ বাবুছড়া ক্যাম্প থেকে সন্ত্রাসী আটক করার লক্ষ্যে অন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে এ্যামবুশ পরিচালনা করা হয়।
রাত ১২.১৫ মিনিটে বাবুছড়া থেকে দীঘিনালাগামী একটি মটরসাইকেলের আরোহীদেও চ্যালেঞ্জ করলে উক্ত বাইক থেকে ১ জন লাফ দিয়ে পলায়নের চেষ্টা করলে অপারেশরন দল কর্তৃক ধৃত হয়। আটক ব্যক্তির নাম সুনীল চাকমা ওরফে সুভাষ (২৭) অভিযানিক দল তাৎক্ষনিক তল্লাশী কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে উক্ত সন্ত্রাসীদের কাছে থেকে ০১ টি পিস্তল ( ৭.৬৫ মি মি চায়না ) ১ টি ম্যাগ্যাজিন ৫ রাউন্ড এ্যামোনিশন নগদ ১৭৬৩৫.০০ টাকা ২ টি মোবাইল ও চাদাঁ আয়ের রশিদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত সন্ত্রাসী একজন চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এবং চাদাঁবাজ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। অবৈধ চাদাঁর জন্য সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাধারন জনগণকে হয়রানী এবং নিংযাতন করে আসছিল। তার আটকের খবর জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে । এলাকার বিশিস্ট নাগরিক সমাজ মনে করেন নিরাপত্তা বাহিনী উক্ত সন্ত্রাসীদের মত সকল সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে এলেই পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসবে। তারা ভবিষৎতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং প্রশাসনের এমন আইনের প্রয়োগ চলমান রাখার দাবি জানান