১৮ মার্চ ২০১৯ খ্রিঃ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শেষ করে ভোট কেন্দ্র থেকে যখন নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিয়ে উপজেলা সদরে ফিরছিল ঠিক তখনই ব্রাশ ফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ইউপিডিএফ প্রসিত ও জেএসএস সন্তুর সন্ত্রাসীরা নির্বাচনের পরাজয় যখন আঁচ করতে পেরে পথিমধ্যে ব্রাশ ফায়ার করে ৬ টি তাজা প্রাণ কেড়ে নেয়৷ ক্ষতবিক্ষত হয় প্রতিটি লাশের শরীর। আহত হয় ১৫ জনের অধিক! পার্বত্য ইতিহাসে এই দিনটি কালো অধ্যায় হিসেবে স্বীকৃত এবং বেদনাদায়ক একটি মূহুর্তের দিন। এই দিনে যারা নিহত ও আহত হয়েছে তাদের পরিবারের খবরও নেয়নি রাষ্ট্র প্রশাসন! শুধু মাত্র আনসার সদস্য নিহার দত্ত নিহত হওয়ার পর তার সন্তান পিয়াল দত্তকে বাঘাইছড়ির তৎকালীন ইউএনও চাকরি দিয়েছিলেন। বাকিদের কারো আর খবর নেওয়া হয়নি!
রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলায় সন্ত্রাসীদের এ হামলা পুরো দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। যে হামলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিগতবছর গুলোতে দেশের আর অন্য কোথাও হয়নি। যেটা শুধু মাত্র রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়িতে হয়েছে। এর থেকে অনুমেয় যে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের থেকে অধিক শক্তিশালী পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো। তারা চাইলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে। যেটা তারা ইতোমধ্যে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ এবং থানার সামনে এসে উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যা করে জানান দিয়েছিল।
পার্বত্য অসাংবিধানিক চুক্তির পরেও একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশে কিভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা থাকে তা আমার বোধগম্য নয়! শুধু প্রশ্ন জাগে স্বাধীনতার ৪ যুগ পরেও পাহাড়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা কিসের ইঙ্গিত বহন করে? রাষ্ট্র কতটা উদাসীন হলে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে? রাষ্ট্রের এই উদাসীনতা অচিরেই পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিঃসন্দেহে দ্বিখণ্ডিত করবে এতে কোন সন্দেহ নেই।