পর্যটন হলে পরিবেশের ভারসাম্য ক্ষতি! জুমচাষের নামে পাহাড়ে দেওয়া আগুনে ক্ষতি নেই?

0

||ইলিশ হোসেন, রাঙ্গামাটি||

যখন পর্যটন বিকাশে সড়ক, হোটেল মোটেল ও উন্নয়নমূলক কাজ করা হয় তখন পরিবেশ ধ্বংস করা হয়! আর যখন জুম চাষের নামে হাজার হাজার একর পাহাড়ে আগুন দিয়ে গাছপালা, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ পুড়িয়ে দেওয়া হয় তখন পরিবেশ ধ্বংস হয় না! হায় রে সুশীল, হায় রে সচেতন নাগরিক সমাজ, হায় রে পরিবেশবাদীরা! এ হচ্ছে এদের চরিত্র!

পাহাড়ে উন্নয়নমূলক কাজ করলে যারা পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ তুলে তারা আজ কোথায়? রাঙ্গামাটি ঘাগড়া কলাবাগান এলাকায় উপজাতি জুমচাষীর দেওয়া আগুনে জ্বলে যাচ্ছে হাজার হাজার একর পাহাড়। ন্যাড়া হয়ে যাচ্ছে পাহাড়। এতে যে পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে তার জন্য তথাকথিত পরিবেশবাদী ও সুশীলদের মায়াকান্না নেই কেন? মায়াকান্না শুধু কি তখন হয় যখন পাহাড়ে রাষ্ট্র উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চায়?

বান্দরবান চিম্বুকের চন্দ্র পাহাড়ে সেনাবাহিনী ও শিকদার গ্রুপের আর.এ হোল্ডিং পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদ হতে ২০ একর তৃতীয় শ্রেণীর অনাবাদি ভূমি লিজ নেয় ৪০ বছরের জন্য ১৯৯৭-এর পার্বত্য চুক্তির শর্ত মোতাবেক। এ ভূমিতে পর্যটন বিকাশের জন্য সড়ক নির্মাণ, বিদ্যুতের খুঁটি নির্মাণ ও হোটেল মোটেলের কাজ হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। আর এই প্রকল্পের কাজকে ঘিরে এদেশের তথাকথিত গণমাধ্যম, বুদ্ধিজীবী, সুশীল ও পরিবেশবাদীরা জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায় ও পাহাড়- প্রকৃতি ধ্বংসের অজুহাত তুলে সারাদেশে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছিল! এমনকি এ বিষয়টিকে ইস্যু করে উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠন গুলো সাধারণ ম্রোদের মাঠে নামিয়েছে। বিক্ষোভ, মানববন্ধন সহ সারাদেশে ঝড় তুলেছিল! দুঃখজনক যে এই মহলটি এখন নীরব ভূমিকায় অবতীর্ণ।

অদ্য (রবিবার) ২১ শে মার্চ সকাল ৭/৮ টার সময় উপজাতি জুমচাষী প্রভা রঞ্জন চাকমা, পিতা- পরান্যা চাকমা, সাং- চম্পাতলী, ঘাগড়া ইউপি, উপজেলা- কাউখালী, সে জুম চাষের নামে পরিবেশ ধ্বংস করে বন ও গাছপালা উজাড় করে পাহাড়ে আগুন দেয়! তার দেওয়া আগুন দ্রুত সময়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তীব্র রোদের মধ্যে তার দেওয়া আগুন মূহুর্তের মধ্যে চারদিকে ছড়িয়ে যায়, এর কারণে ইতোমধ্যে ২টি পাহাড় পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এমতাবস্থায় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স সহ স্থানীয়রা দীর্ঘ সময় চেষ্টা করেও আগুন নিভানো সম্ভব হয়নি। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে সর্বশেষ চলে যায়। বর্তমানে ঘাগড়া কলাতলী পাহাড় সমূহে আগুন এখনো জ্বলছে। আগুনের তীব্রতা দিনের তুলনায় এখন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এ আগুন কোথায় গিয়ে থামে তারও নিশ্চয়তা নেই। এখন যে হাজার হাজার একর পাহাড় জ্বলে যাচ্ছে তার জন্য কি পরিবেশের ভারসাম্যের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না? বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর জীবনমান ও সংস্কৃতির ক্ষতি হবে না? জাতি বিলুপ্ত হওয়ার কি এখন সংশয় নেই?
পার্বত্য চট্টগ্রামে যত দোষ নন্দ ঘোষ!

আগের পোস্টসন্ত্রাসীদের গুলিতে ২ বাঙালি আহত, প্রশ্নবিদ্ধ পাহাড়ের নিরাপত্তা-সেনাক্যাম্প বৃদ্ধির দাবি।
পরের পোস্টপার্বত্যাঞ্চলে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারে পাহাড়ী সন্ত্রাসী দৌরাত্ম্য দিন দিন বাড়ছে!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন