||আমির হোসেন পাটোয়ারী, বান্দরবান||
কথিত আছে উপজাতি সহজসরল সুপুরুষেরা ধর্ষণ কি তাও বুঝে না এবং উপজাতি সমাজে ধর্ষণ নামক কোন প্রতিশব্দও নেই। তাই উপজাতি সমাজে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনাও ঘটে না! অথচ পাহাড়ে অহরহ নারী-শিশু উপজাতি সন্ত্রাসী কিংবা উপজাতি কতিপয় যুবক ধারা ধর্ষিত হচ্ছে। এক সাপ্তাহ ব্যবধানে বান্দরবানে দু’টি ধর্ষনের ঘটনা উপজাতি পুরুষ কর্তৃক হয়। এ ঘটনা গুলো এদেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম গুলোতে প্রকাশিত হয় না অদৃশ্য কিছু কারণেই! যার কারণে পাহাড়ের উপজাতিদের অপরাধ গুলো দামাচাপা পড়ে যায়৷ শুধু বাঙ্গালিদের অপরাধ গুলো ফলাও করে প্রকাশ করা হয়!
পার্বত্য বান্দরবানের সদর উপজেলার মনজয় পাড়ায় এক স্বজাতি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজাতি কতিপয় যুবকের বিরুদ্ধে। আর এ অভিযোগে বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ-এর ভাইস চেয়ারম্যান রাজু মং মারমার ছেলে লাতু মং মারমা (৩৫) এর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর পরিবার সদর থানায় মামলা দায়ের করেছে। যাহার মামলা নাম্বার ৬, ২৪-০৩-২০২১ খ্রিঃ
উপজাতি শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২১ মার্চ রাতে মনজয় পাড়ার বাড়িতে পরিবারের অন্য সদস্যরা না থাকায় শিশুটিকে একে পেয়ে লাতু মং মারমা শিশুটির মুখ চেপে ধরে ঘরের পাশের জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে কান্নারত অবস্থায় শিশুটিকে দেখেতে পেয়ে গ্রামের লোকরা তাকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এদিকে এই ঘটনায় বুধবার বান্দরবান সদর থানায় ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত লাতুমং (৩৫) পলাতক রয়েছেন।
এই ব্যাপারে অভিযুক্তর পিতা সদর উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান রাজুমং মারমা জানান, আমার ছেলে অপরাধ করলে সে অপরাধী। ধর্ষককে যেখানে থাকুক না কেন, তাকে আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে তৎপর রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, অভিযুক্ত উপজাতি কতিপয় যুবক একজন জঘন্য ধর্ষক। তার বিরুদ্ধে এলাকায় অনেক শিশু ও নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে৷ কেউ ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না তাই একের পর এক জঘন্য কাজ করে যাচ্ছে সে।