||আল শাহরিয়ার রোকন, খাগড়াছড়ি||
এদেশের বামঘরনার চিন্তাবিদ, প্রগতিশীল, মুক্তমনা, তথাকথিত সুশীল, সচেতন নাগরিক সমাজ “সবসময় দাবি করে আসছে উপজাতিরা সহজসরল, শান্তি প্রিয় এবং ধর্ষণ কি জিনিস তাও তারা জানে না। উপজাতি সমাজে ধর্ষণ নামক শব্দও নেই! পাহাড়ে যত সমস্যার মূল বাঙ্গালি ও সেনাবাহিনী। এটা সবসময় তাদের একটা কমন্স ডায়লগ থাকে! অথচ এই উপজাতিরাই এখন ধর্ষণ সবচেয়ে বেশি করে। কথিত আছে উপজাতিদের মধ্যে একটি অংশ নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করে এবং নারীর উপর কর্তৃত্ব দেখায়। সবসময় নারীদের অবমাননা করে এবং নারীর অধিকার নিয়ে ছিনিমিনিই খেলে। উপজাতি নারীদের স্বাধীনতা নেই। বেশিরভাগ উপজাতি নারী জুমে গিয়ে কাজ করে। ধান, আদা, হলুদ, কলা উৎপাদন সহ ঘরে বাহিরে যাবতীয় কাজও নারীকে করতে হয়! অন্য দিকে উপজাতি পুরুষ মদ, গাঁজা খায় আর জুয়া খেলা থাকে। ঘরে এসে উপজাতি পুরুষ একটু ব্যতিক্রম হলে নারীকে মারধর করে। পাহাড়ে এখন উপজাতি নারীরা স্বজাতি পুরুষ কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়। মাঝেমধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়। নারীরা কোন একটি অন্যায় করলে তার জন্য নারীকে নিলামে তোলা হয়। পার্বত্য উপজাতি নারীরা ধর্ষিত হলে তেমন একটা আইনগত পদক্ষেপ নিতে পারে না। কারণ উপজাতি সমাজ ব্যবস্থা কুসংস্কারে ভরা। সভ্যতার যুগে এসেও পাহাড়ে উপজাতি নারী ধর্ষিত হলে শুকর বলি দিয়ে ধর্ষককে মুক্তি দেওয়া হয়। সমাজ পতিরা নারী-পুরুষ থেকে শুকর নিয়ে নিজেরা আনন্দ ফুর্তি করে খায়। অন্য দিকে নারী সমাজের কাছে ঘৃণার চোখে থাকতে হয় এবং অস্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়।
যদিও এটা পাহাড়ে যুগের পর যুগ থেকে হয়ে আসছে। এদেশের তথাকথিত গণমাধ্যম, জ্ঞানপাপী ও কতিপয় সুশীলরা পাহাড়ের নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রবাহ তুলে ধরে না। অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ, দেশদ্রোহী বিশ্বাসঘাতক উপজাতি সন্ত্রাসীদের থেকে পাহাড়ের চাঁদাবাজির মাসোহারা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তব ঘটনা গুলো চেপে যায় উল্লেখিত মহল গুলোই। অথচ আবার এরাই সবসময় পাহাড়ের বাঙ্গালির দোষগুন খুঁজে বেড়ায়।
ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনার ধামাচাপা দেওয়ার মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে অহরহ ঘটনা রয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, উপজাতি নারী ধর্ষিত হলে উপজাতি সন্ত্রাসী আর উপজাতি সমাজপতিরা নারীর পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে আইনি ব্যবস্থা নিতে দেন না। শুকর দিয়ে ঘটনা সমাধান করার জন্য জোরপূর্বক চাপ প্রয়োগ করা হয়। যদি কেউ অবাধ্য হয় তাকে উপজাতি সন্ত্রাসীরা হত্যা করে কিংবা মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক কিংবা গুগলে অনুসন্ধান করলে পাঠকগণ পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণের ঘটনা শুকর দিয়ে মিমাংসা করার প্রমাণ পাবেন এবং উপজাতি নারী নির্যাতনের ভয়াবহ ভিডিও চিত্র গুলোও পাবেন।