মানবিক সেবার অংশ হিসেবে পানছড়ি, খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধী অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী (খাগড়াছড়ি সদর জোন)।
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার উল্টাছড়ি ইউনিয়নের কুঞ্জরামপাড়া গ্রামের বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী প্রিয় রঞ্জন চাকমার ঘর নির্মাণ করে দিল খাগড়াছড়ি রিজিয়নের অন্তর্গত খাগড়াছড়ি সদর জোন। গত ৯ মার্চ স্থানীয় সংবাদপত্রের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রতিবন্ধী প্রিয় রঞ্জন চাকমা পারিবারিকভাবে বসবাসের জন্য ঘরের আবদার করে।
বিষয়টি জানার সাথে সাথেই খাগড়াছড়ি সদর জোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ঘর নির্মাণের দায়িত্বভার গ্রহণ করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ মার্চ খাগড়াছড়ি সদর জোনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ঘর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয় যার কাজ গত ১ এপ্রিল শেষ হয়। অদ্য ৩ এপ্রিল প্রতিবন্ধী প্রিয় রঞ্জন চাকমার নিকট ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন খাগড়াছড়ি সদর জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. জাহিদুল ইসলাম, পিএসসি।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর জোনের জোন কমান্ডার লে. কর্ণেল মো. জাহিদুল ইসলাম, পিএসসি এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মানুষের মৌলিক পাঁচটি অধিকার এর মধ্যে বাসস্থান অন্যতম। মানুষ তার মৌলিক অধিকারসমূহ যাতে সঠিকভাবে ভোগ করতে পারে খাগড়াছড়ি সদর জোন এ বিষয়ে সর্বদাই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি সদর জোন যে কোনো দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে আর্ত-মানবতার সেবায় বেসামরিক প্রশাসনকে তাৎক্ষণিক সহায়তায় সর্বক্ষণ পাশে ছিল এবং আগামীতেও পাশে থাকবে। শান্তি, সম্প্রীতি এবং উন্নয়ন এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে আসছে। মনে রাখতে হবে আমরা সকলেই খাগড়াছড়ি জেলার বাসিন্দা। এ জেলার উত্তরোত্তর উন্নতি এবং সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব।
এছাড়াও তিনি বলেন, ভবিষ্যতেও পাহাড়ী জনসাধারণসহ পাহাড়ে বসবাসরত জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় সেনাবাহিনীর এরূপ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের জানমাল রক্ষা ও যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য সদা তৎপর রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সাম্প্রদায়িকতার বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল ধরণের সহযোগীতা চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।