গত ৪ ও ৫ এপ্রিলের ঘটনার বিচার না হওয়াতে ফের উপজাতি ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের হামলা!

0

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউপির ইসলামপুরের শুকনাছড়ি এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ আলীর পুত্র রমজান আলীকে উপজাতি ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা বেধড়ক মারধর করে। নিজের মালিকানাধীন জমিতে অদ্য (শনিবার) ১০ এপ্রিল সকাল সাড়ে আটায় করলা ক্ষেতে সার দিতে রমজান আলী গেলে ১৪/১৫ জন উপজাতি ইউপিডিএফ সশস্ত্র সন্ত্রাসী পোশাক পরিহিত অবস্থায় বন্দুকের গাদাম দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এই সময় আহত রমজান আলীকে উদ্ধারের জন্য তার শশুর সহ আরো ২ জন মহিলা শ্রমিক বাড়ি থেকে এগিয়ে যেতে চাইলে একটি ফাঁকা গুলি করে চলে যায় ইউপিডিএফ। আহতকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

গত ৪ এপ্রিল ও ৫ এপ্রিল ইউপিডিএফ চাঁদার টাকা না পেয়ে লাইফু পাড়া ও পংবাড়ী এলাকায় ১৫/২০ জন বাঙ্গালিকে মারধর করে। এবং গুলি করে আহত করে মো. হোসেন নামে এক বাঙ্গালিকে। ওই সময় ইউপিডিএফ ধাপে ধাপে বাঙ্গালিদের হামলা করে এবং ঘরবাড়ি হতে মারধর করে বাহির করে দেয়৷ এই ঘটনায় স্থানীয় বাঙ্গালিরা আন্দোলন করার চেষ্টা করলে প্রশাসন বাঙ্গালিদের হুমকি-ধামকি দিয়ে দমিয়ে দেয়। এতে লাই পেয়ে যায় ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা। ইউপিডিএফ মূলত চাঁদাবাজির টাকা না পেয়ে একের পর হামলা চালাচ্ছে নিরিহ বাঙ্গালিদের উপর। চাঁদাবাজি, অপহরণ, খুন-গুম ইউপিডিএফের সাংগঠনিক রক্ষার অন্যতম হাতিয়ার। তাই তারই ধারাবাহিকতায় ইউপিডিএফ চাঁদা আদায় ব্যর্থ হয়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে। ওই ঘটনা গুলোর পরিপ্রেক্ষিতে যদি প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিতো তাহলে পূনরায় ইউপিডিএফ হামলা করার সাহস পেতো না। যারা ওই ঘটনা গুলো নিয়ে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেছে তাদের একটি মহল উস্কানিদাতা হিসেবে চিহ্নিত করেছে! অথচ প্রতিবাদকারীরা স্রেফ সত্য উন্মোচন করতে চেয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালিরা নির্যাতিত হয়ে কিংবা হত্যাকান্ডের শিকার হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে উস্কানিদাতা হয়ে যায় এবং সাম্প্রদায়িক হয়ে যায়!

আগের পোস্টবাঙ্গালিদের দূরসময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে খাগড়াছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. রফিকুল আলম।
পরের পোস্টলোগাং নামে খাগড়াছড়ি জেলায় একটা জায়গা আছে, যার নদীর নাম রক্তের নদী!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন