পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক শর্ত অবৈধ অস্ত্র পরিহার, তা কিন্তু জেএসএস পালন করেনি! ১৯৯৭ সালের ২-রা ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও জেএসএস সন্তু গ্রুপের মধ্যে সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তির ৭২টি মূল ধারার মধ্যে সরকার অধিকাংশ ধারা বাস্তবায়ন করেছে৷
এদিকে জেএসএস এর প্রতি সরকারের মাত্র একটি মৌলিক ধারা ছিল অবৈধ অস্ত্র চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার ৪৫ দিনের মধ্যে আত্মসমপর্ণ করার শর্ত। মাত্র একটি মৌলিক ধারা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জেএসএস ভাঙা মরিচাধরা কিছু অস্ত্র জমা দিয়ে বেশিরভাগ অস্ত্র নিয়ে এখনো বিদ্যমান রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারকে জেএসএস সহযোগিতা করেনি।
চুক্তিতে বলা হয়েছে যেসব অস্ত্রধারীরা ৪৫ দিনের মধ্যে অস্ত্র জমা দিবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠকের জ্ঞাতার্থে পার্বত্য চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ তুলে ধরছি-
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির (ঘ) খন্ডের (১২) জনসংহতি সমিতি ইহার সশস্ত্র সদস্যসহ সকল সদস্যের তালিকা এবং ইহার আওতাধীন ও নিয়ন্ত্রণাধীন অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিবরণী এই চুক্তি স্বাক্ষরের ৪৫ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট দাখিল করিবেন।
১৩) সরকার ও জনসংহতি সমিতি যৌথভাবে এই চুক্তি স্বাক্ষরের ৪৫ দিনের মধ্যে অস্ত্র জমাদানের জন্য দিন, তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করিবেন। জনসংহতি সমিতির তালিকাভুক্ত সদস্যদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমাদানের জন্য দিন তারিখ ও স্থান নির্ধারণ করার জন্য তালিকা অনুযায়ী জনসংহতি সমিতির সদস্য ও তাহাদের পরিবারবর্গের স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তনের জন্যে সব রকমের নিরাপত্তা প্রদান করা হইবে।
১৪) নির্ধারিত তারিখে যে সকল সদস্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিবেন সরকার তাহাদের প্রতি ক্ষমা ঘোষণা করিবেন। যাহাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা আছে সরকার ঐ সকল মামলা প্রত্যাহার করিয়া নিবেন।
১৫) নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে কেহ অস্ত্র জমা দিতে ব্যর্থ হইলে সরকার তাহার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন।
১৬) জনসংহতি সমিতির সকল সদস্য স্বাভাবিক জীবনে প্রত্যাবর্তনের পর তাহাদেরকে এবং জনসংহতি সমিতির কার্যকলাপের সাথে জড়িত স্থায়ী বাসিন্দাদেরকেও সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন করা হইবে।