পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ত্রাণ বিতরণের নামে চাঁদাবাজির মহা উৎসবে মেতে উঠেছে। গতকাল (শুক্রবার) ২১ মে হতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে ইউপিডিএফ।
দারিদ্র্য মানুষের অসহায়ত্বকে পুঁজি করে সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ী, সরকারি চাকরিজীবী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা কালেকশন করেছে। অসহায় মানুষদের জন্য ত্রাণ বিতরণের নামে উত্তেলিত চাঁদার সিকিভাগও দারিদ্র্য মানুষের কাছে পৌছায় না।
ফটোসেসনের জন্য নামে মাত্র কিছু খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে বাকি টাকা ব্যায় করে নতুন নতুন মারণাস্ত্র ক্রয়ের জন্য।
বিভেশ চাকমা নামের আমার এক বন্ধু জানিয়েছে, ইউপিডিএফের ত্রাণ বিতরণ দেখলে জুম্ম জনগনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। কারণ, ৫০০ টাকার ত্রান বিতরণ করে যাওয়ার সময় ১০০০ টাকার চাঁদার রশিদ ধরিয়ে দেয়।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, বড়শিতে খাদ্য দিয়ে মাছের সামনে দেয়ার অর্থ মাছের প্রতি মানবিক হওয়া নয়, যৎসামান্য খাদ্যের লোভ দেখিয়ে মাছকে আটকানোর ফন্দী করা।
ইউপিডিএফের ত্রান বিতরণও তদ্রুপ, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে নয় ;ত্রান বিতরণের ফটোসেসন কাজে লাগিয়ে কোটি টাকার চাঁদাবাজিই হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য।
ত্রাণ নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো একটি মহৎ কাজ। কিন্তু সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ এই মহৎ কাজটিকে কলঙ্কিত করেছে।
তাই ত্রাণ বিতরণের নামে ইউপিডিএফের চাঁদাবাজি বন্ধ করতে না পারলে সত্যিকারার্থের মানবিক সংগঠনগুলো প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।