খাগড়াছড়ির জেলার পানছড়িতে ফলজ ও সেগুন বাগানের গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে ইউপিডিএফ প্রসিত বিকাশ খিসার সন্ত্রাসীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার ২৭ মে, ২০২১ খ্রিঃ রাতে উপজেলার আলীচান ও কালানাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্থানীয় বাগান মালিকদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী ইউপিডিএফ-কে দায়ী করে ভুক্তভোগী বাগান মালিকরা জানান, চাঁদা দেয়ার পরও তারা বাগানের গাছ কেটে দিয়েছে। তাদের দাবিকৃত চাঁদা হতে কিছু পরিমাণ চাঁদা কম দেওয়ার কারণে গাছ কেটে দেয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে সংগঠনটি। ইউপিডিএফ এর সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, এ ধরনের ঘটনার সাথে আমাদের সংগঠন জড়িত নয়। অথচ চাঁদাবাজি, অপহরণ ও খুন-গুম প্রতিনিয়ত তারা করে আসছে।
জানা যায়, পানছড়ি উপজেলার ৩নং পানছড়ি সদর ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ওবায়দুল হক এর আলীচাঁনপাড়ায় ৮ একর জমিতে ৩ শতাধিক আম গাছ, ৫ হাজার সেগুন গাছ এবং ২ শতাধিক কলাগাছসহ একটি বাগান সৃজন করে। এরপর সন্ত্রাসীদের ধার্য্যকৃত চাঁদাও পরিশোধ করে তারা।
অপরদিকে, কালানাল এলাকার বাসিন্দা মো. ইয়াসিন মিয়ার ২ একর জমির ৩ শতাধিক আম গাছ সন্ত্রাসীরা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এদিকে, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দুলাল হোসেন বলেন, বিষয়টি শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
বাস্তবতার অর্থে বলতে গেলে পুলিশ শুধু দায় ছাড়া ভাবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্লজ্জের পরিচয় দিচ্ছে৷ সন্ত্রাসীদের বিগতবছরের অপরাধ গুলোর বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিতে পেরেছে পুলিশ? একের পর এক বাঙালি হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে, এবং খুন-গুম ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে পুলিশ কোনপ্রকার ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
লেখক: আহসান হাবিব, খাগড়াছড়ি
মুক্তমতের লেখা লেখকের নিজেস্ব মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। তার সঙ্গে সম্পাদকীয় নীতির সম্পর্ক নেই।