মহালছড়ি উপজেলার মুবাছড়ি ইউনিয়নের ‘খুলারাম পাড়া’ যেনো সন্ত্রাসের রাজত্বের কেন্দ্রস্থল।

0

মহালছড়ি উপজেলা ও মুবাছড়ি খুলারাম পাড়ায় উপজাতিদের দখলকৃত অধিকাংশ জায়গা বাঙ্গালীদের বন্দোবস্তকৃত। ১৯৮০/৮১ সালে সরকার তার খাস ভূমি হতে বাঙালীদের ৫ এক করে ভূমি বন্দোবস্ত দেন। এরপর বিভিন্ন ধাপে এ বন্দোবস্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। তৎকালীন শান্তিবাহিনীর নির্যাতন, হামলা ও গণহত্যায় বাঙ্গালীরা উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের মত মুবাছড়ির বেশ কিছু এলাকা ছেড়ে এরশাদ সরকারের গুচ্ছগ্রামের বন্দিশালায় আটক হন। সরকারের পক্ষে বাঙালীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। নেওয়া হয়নি বাঙালীদের রক্ষার যথাযথ পদক্ষেপ।
মূলত রাস্ট্রীয় অবহেলায় বাঙালীদের রেকর্ডীয় ভূমি গুলো উপজাতিরা দখল করে আছে। উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ভূমি তাদের দখলে রাখার জন্য তারা বাঙ্গালীদের হুমকি প্রদান সহ নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। এর ফলে বাঙালীরা বন্দিশালায় জীবনযাপন করায় স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। এবং নাগরিক ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কর্মসংস্থান ও মাথা গোঁজার ঠাঁই টুকু না থাকায় বাঙালী ছেলেমেয়েরা শিক্ষা-দীক্ষা ও নিজেদের মানুষিক বিকাশ থেকে পিছিয়ে পড়ছে।
সরকারের পক্ষ হতে বাঙালীদের জীবনমান এগিয়ে নেয়ার মত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ না করায়, এবং উপজাতি সম্প্রদায়কে একতরফা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ফলে উপজাতি বাঙালী ভেদাভেদ, হানাহানি ও হিংসা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বর্তমান পাহাড়ে ভূমি বিরোধ সমস্যা প্রকট আঁকার ধারণ করেছে৷ দেশের প্রচলিত আইনে চলমান ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি না করায়, এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন বিধি মোতাবেক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি করার ব্যর্থ চেষ্টার ফলে ভূমি বিরোধ সমস্যা প্রকট আঁকার ধারণ করার জন্য মূল দায়ী। দেশের প্রচলিত আইন তোয়াক্কা না করার ফলে অচিরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি সমস্যা আরো জটিল আঁকার ধারণ করবে।

অন্যদিকে এখানে দেশ স্বাধীন হবার পর আর্বিভাব হওয়া বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গুলো পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেনি। সরকারের সঙ্গে তাদের সম্পাদিত পার্বত্য চুক্তি তারা লঙ্ঘন করে সরকার থেকে একের পর এক সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে।

বাঙালীদের সরকার দেওয়া ভূমিতে বাঙালীরা যেতে পারছে না। সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের চিত্র একই। অধিকাংশ ভূমি উপজাতিদের দখলে।
উপজাতি সন্ত্রাসীরা বাঙালী আগ্রাসন ও বাঙালী কর্তৃক ভূমি দখলের ধুয়ো তুলে বাঙালীদের রেকর্ডীয় ভূমিতে যেতে বাধা দিচ্ছে, এবং তথাকথিত গণমাধ্যম দিয়ে বাঙালীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার রটিয়ে দিচ্ছে। পাহাড়ের প্রকৃত ঘটনা গুলো এদেশের প্রথম সারির গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়না। এরজন্য যেমন গণমাধ্যমও সন্ত্রাসীরা দায়ী তেমনি প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তারাও দায়ী৷

খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন মুবাছড়ি। এ ইউনিয়নে অবৈধ অস্ত্রধারীদের দৌরাত্ম্য বেশি। ইউনিয়নটির অধিকাংশ এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্বের কেন্দ্রস্থল। এখানে সন্ত্রাসীরা তাদের নিজেস্ব তৈরি আইন ও শাসন জারি রেখেছে৷ প্রতিটি পাড়া মহল্লায় সন্ত্রাসীরা অবৈধ অস্ত্র ও সামরিক পোষাকে নিয়োজিত থাকে। এই ইউনিয়নের অধিকাংশ পাড়া মহল্লায় সচারাচর বাঙালী প্রবেশ নিষিদ্ধ।
সবচেয়ে অবাক করা তথ্য হল-
খুলারাম পাড়ার অধিকাংশ ঘর গুলো সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয়ের নিরাপদ আবাসন। সিঙ্গিনালা, খুলারাম পাড়া, মনারটেক ও লেবারপাড়ার স্কুল, এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসীরা তাদের সাংগঠনিক অফিস হিসেবে ব্যবহার করার মত অভিযোগও রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনীতির মেরুকরণ ঠিক কিন্তু এ পাড়াগুলো হতে হয় বলে পাহাড়ি জনপদের বিশ্বাস। ধনপুতির বাজার যারা বিভিন্ন কাজে যায়, তারা কিছু সন্ত্রাসীদের অনেক কর্মকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শী।

মনারটেক হচ্ছে সন্ত্রাসীদের আরো একটি নিরাপদ সন্ত্রাসের রাজত্বের কেন্দ্রস্থল। এখানে বাঙালী প্রবেশ করা চিরতরে নিষিদ্ধ।

আগের পোস্টপ্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আস্থার প্রতীক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
পরের পোস্টরাঙামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলার দুর্গম বনযোগীছড়া হচ্ছে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আবাসন।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন