রাঙামাটি পার্বত্য জেলার জুরাছড়ি উপজেলার দুর্গম বনযোগীছড়া হচ্ছে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আবাসন।

0

সমগ্র উপজেলা ও ২নং বনযোগীছড়া ইউপির ২ নং ওয়ার্ড সন্তু লারমার জেএসএসের একক আধিপত্য প্রকট। সাধারণ মানুষ একপ্রকার জিম্মি সন্ত্রাসীদের অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শনের কাছে৷ বেশ করে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হওয়ার ফলে এখানে অবাধে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া চলে প্রতিনিয়ত। অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সামরিক পোষাকে দেখা যায় ২২ থেকে ৩০ বছরের যুবকদের। তাদের বেশিরভাগের হাতে একে-৪৭ অস্ত্র ও এম-১৬ এর মত ভারী অস্ত্র রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ৷ পাহাড়ি সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে গণচাঁদা উত্তোলন করার পাশাপাশি তারা এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মানুষদেরকে তাদের অনুগত করতে বাধ্য করে বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অবৈধ অস্ত্রধারীরা এখানে রাস্ট্রীয় বাহিনীর মত নির্বিঘ্নে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে তাদের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। তাদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ উপযোগী আবাসন এ বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যার দুর্গম অরণ্য গুলো৷

সন্তু লারমার জেএসএস পার্বত্য চট্টগ্রামে যেখানে অন্যান্য এলাকায় নীরবতা নীতি অবলম্বন করেছে, ‘সেখানে জুরাছড়ি তারা সাধারণ মানুষের উপর দমন নীতি গ্রহণ করেছে।’ এখানকার নিরস্ত্র পাহাড়ি মানুষ গুলো প্রতিনিয়ত স্বজাতি সন্ত্রাসীদের জুলুমের শিকার হন। দুর্গম পাহাড়ী এলাকা হওয়ার ফলে এখানে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায় না। এখানকার মানুষের অধিকার ও ভাগ্য সৃষ্টি কর্তার পর ‘সব কিছু নির্ধারণ করেন স্বয়ং জেএসএস সন্তুর সন্ত্রাসীরা।’ কথাটা এ জন্য বলছিলাম যে, ২নং ওয়ার্ডের হেমন্ত চাকমা মেম্বার-কে হত্যাকারী জেএসএস সন্তু সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরাফেরা করে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে। প্রতি মূহুর্তে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে তবুও তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার মত কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায় না।

আগের পোস্টমহালছড়ি উপজেলার মুবাছড়ি ইউনিয়নের ‘খুলারাম পাড়া’ যেনো সন্ত্রাসের রাজত্বের কেন্দ্রস্থল।
পরের পোস্টপাহাড়ে উপজাতি নারীরা সভ্যতার যুগেও পরাধীন!!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন