স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় ইউপিডিএফ-এর হাতে প্রান দিতে হলো সাবেক সশস্ত্র সদস্য অমর জীবনকে!

0

রুবেল হোসেন, খাগড়াছড়ি

পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বড়াদম নওয়াপাড়া এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বিরোধী দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের সাবেক কর্মী অমর জীবন চাকমা-কে কুপিয়ে হত্যা করেছে ইউপিডিএফ। নিহত অমর জীবন চাকমা সাজেকের মাচালং এলাকার পূর্ণ কিশোর চাকমার ছেলে। দীর্ঘদিন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার পর দল থেকে বেরিয়ে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্বাভাবিক জীবন বেচে নেয় অমর। এরপর থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে চাষাবাদ ও সামান্য ব্যবসা-বাণিজ্য করে ভালোভাবে দিন কাটাতে চেয়েছিল অমর।
কিন্তু কালো অন্ধকারে যারা একবার যায় তাদের আর রেহাই হয় কি করে? যার দরুন জীবনকে আশ্রয় মাঝে আর রাখা সম্বব হয়নি তার। নিজ জাতির সন্ত্রাসীদের লালসার শিকারে ব্যভ্ররত জীবন।
এভাবে কালো অন্ধকার জগতে অনেক যুবক জীবন নষ্ট করে দিচ্ছে। চাইলে ও স্বাভাবিক জীবন বেচে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে এখন পাহাড়ের উপজাতীয় যুবকদের। এভাবে একটি জাতিকে অন্ধকার আর সন্ত্রাসী জীবনে ধাবিত করে দিনদিন যুবক যুবতীদের রাষ্ট্রের বিরোধী অবস্থানে ধার করিয়ে পার্বত্যচট্টগ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করছে তারা। কি কঠিন জীবন পাহাড়ী জনগোষ্ঠীদের।


নিহত অমর জীবন চাকমা গত দুই বছর আগে ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপ থেকে দল ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। সে দীঘিনালা বড়াদম এলাকায় বিয়ে করে নওয়া পাড়া এলাকায় কাঁচা তরকারি বিক্রি করে জীবন চালাতো। কিন্তু দল ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় দলের নিরাপত্তা এবং বিভিন্ন গোপন তথ্য বেহাত হওয়ার শঙ্কায় শনিবার (২৬ জুন) ভোরে ইউপিডিএফ (প্রসীত) দলের ৫/৬ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাকে তার নিজ বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এভাবে সন্ত্রাসীরা প্রথমে যুবকদের দলে নিয়ে যায় বিভিন্নরকম লোভ দেখিয়ে। পরে আর তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে আর পারেনা। পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফ-জেএসএস ত্যাগ করে স্বাভাবিক জীবনে যারা ফিরে এসেছেন তাদের সবাইকেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে৷ অনেক যুবক সন্ত্রাসী জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়, কিন্তু হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার ভয়ে ফিরে আসতে পারছে না।

আগের পোস্টইমাম হত্যার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার দাবি পার্বত্যমন্ত্রীর।
পরের পোস্টপাহাড়ে উপজাতি মেয়েরা স্বজাতি পুরুষের হাতে নিরাপদ নয়।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন