২০১১ সালে বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে এদেশের নাগরিকদের জাতীয়তা পরিচয়ে বাংলাদেশী হিসেবে স্বীকৃতি দেয় সরকার। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও উগ্র মতবাদের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাংলাদেশ সংবিধানকে অবমাননা করে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ রাস্ট্রদ্রোহীতা মূলক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে। প্রতিনিয়ত সংবিধান ও রাস্ট্রের বিরুদ্ধেই মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত ছড়িয়ে দিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করার অপচেষ্টাই লিপ্ত রয়েছে।
বাঙালি জাতীয়তাবাদ চাপিয়ে দেওয়ার অজুহাত তুলে সংবিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সংবিধানকে বিতর্কিত আখ্যায়িত করে “পঞ্চদশ সংশোধনী” বাতিলও সংশোধন চেয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবি ও জ্ঞানপাপী মহলের ইন্ধনে রাস্ট্রের বিরুদ্ধে কর্মসূচী দিয়ে নানান রাস্ট্রদ্রোহীতামূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হচ্ছে। তাদের এহেন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন বিভিন্ন পেশাজীবির মানুষ সহ দেশপ্রেমিকরা।
গত- ২৭ জুন থেকে রাজপথে কর্মসূচী পালন ও অদ্য ২৮ জুন পোস্টারিং করে, এবং ৩০ জুন অনলাইনে বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে অনলাইন আলোচনা করার ঘোষণা দিয়ে “পঞ্চদশ সংশোধনী” বাতিল ও জাতীয়তা বাংলাদেশী পরিচয়কে অস্বীকার করে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে তারা।
সরকারের পর্যটন শিল্প বিকাশের বিরোধিতা, এবং মানুষদের জীবনমান উন্নতকরণের যাতায়াত ব্যবস্থা সড়কের বিরোধিতা করে ঘর ভাংচুরের মিথ্যা অভিযোগ তুলে নানান বিশৃঙ্খলা ও রাস্ট্রোদ্রোহিতামূলক কার্যকলাপ পরিচালনা করে আসছে ইউপিডিএফও তাদের সহযোগী অঙ্গসংগঠন সমূহ।
অদ্য ২৮ জুন খাগড়াছড়ি স্বনির্ভর বাজার উত্তর খবংপুড়িয়া দক্ষিণ খবংপুড়িয়া এলাকায় রাস্তার পাশে প্রাচীরে পোস্টারিং-এর মাধ্যমে অসাংবিধানিক শব্দ চয়ন করে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করার অপচেষ্টাই লিপ্ত হয়েছে ইউপিডিএফ।
সন্ত্রাসীরা সংবিধান বিরোধিতা করে, পাহাড়ে পর্যটন শিল্প বিকাশের বিরোধিতা করে, এবং মানুষদের জীবনমান উন্নত করণের প্রয়োজনে নির্মণাধীন যাতায়াত সড়ক নির্মাণ সহ মিথ্যা ঘর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তুলে বিভিন্ন জায়গায়তে পোস্টার লাগান।
পোস্টারে লেখা হয়, ‘বিতর্কিত পঞ্চদশ সংশোধনীর ‘এক দশক, নতুন সংবিধান চাই’ পোস্টারিং-এ এমন সব সংবিধান বিরোধী দাবি লেখা হয়। আরো লেখা রয়েছে, বাঙালি জাতীয়তা নয় স্ব স্ব জাতিসত্তার স্বীকৃতি দিতে হবে উন্নয়নের নামে পাঁচতারা হোটেল সড়ক নির্মাণ ও বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ চলবে না, তা বন্ধ করো।
এই ঘোষাণা দিয়ে সন্ত্রাসীরা আগামী ৩০ শে, জুন ২০২১ খ্রিঃ প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও অনলাইন আলোচনা সভার ডাক দেয়। ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী সমর্থিত গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ-এর নেতৃত্বে রয়েছে।
এদেশের ভাড়াটিয়া বুদ্ধিজীবি ও তথাকথিত সুশীলদের নিয়ে অনলাইন আলোচনা সভার কর্মসূচী দিয়েছে তারা। “গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম” এর ফেসবুক পেইজে লাইভ সম্প্রচার করা হবে ঘোষণা দেয়।
বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক, এটি বাংলাদেশ সংবিধানের প্রতি ধৃষ্টতা দেখানোর সামিল। এমন ধৃষ্টতা দেখানোর দুঃসাহস পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীরা কীভাবে পায়? তা খুঁজে বের করে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রাস্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ এনে মামলা করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওযার জোর দাবি জানাচ্ছি।
তার সাথে সাথেই প্রশ্ন থাকলো তারা আমাদের সংবিধানের বিরোধিতা করার দুঃসাহস দেখিয়ে কীভাবে পোস্টারিং করে, এবং কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে? তাদের ইন্ধন দ্বাতা ও সহযোগিতাকারীদের বিরুদ্ধে অতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাই।