বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে না দেওয়াই বাঙালি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা।

0

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলাধীন রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের তালুকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম -কে স্কুল থেকে সরাতে কল্পিত “ধর্ষণ চেষ্টাকে” হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
তারই ধারাবাহিকতায় রাজস্থলী উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের তালুকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদীত মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ অভিযোগ তুলে তার নামে থানায় মামলা করে তাকে আটক করিয়েছে৷

এ ব্যাপারে রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফজল আহমদ খান বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে অদ্য ০১-০৮-২০২১ খ্রিস্টাব্দে সকালের দিকে পুলিশ বাঙালি প্রধান শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।

জেএসএস সন্ত্রাসীদের অভিযোগ ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ঐ স্কুলের এক মারমা ছাত্রী (১১) ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছে গত ৩০ জুলাই ২০২১ দুপুর আনুমানিক ২:০০ টার দিকে; তালুকদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ওই ছাত্রীটির মাকে উপবৃত্তির বিষয়ে ছবি তোলার জন্য মেয়েকে স্কুলে পাঠাতে বললে মেয়েটি ঐ সময়ে স্কুলে গিয়ে হাজির হয়। ঐ সময় শিক্ষক নজরুল ইসলাম সুযোগ বুঝে ওই ছাত্রীটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তবে মেয়েটি কোনোমতে বাড়িতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং তার মা-বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

অথচ জেএসএস যে অভিযোগ করেছে, অভিযোগটি বিচার বিশ্লেষণ করলে অনুমেয় যে, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদীত।

এ ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণের দাবি- বাঙালি নজরুল ইসলাম এইধরনের খারাপ চরিত্রের শিক্ষক নয়। তিনি একজন আদর্শবান সৎ শিক্ষক হিসেবে উক্ত বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সুনামের সহিতে পালন করে আসছেন। তিনি বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা মান ভালো হয়েছে। এতে অভিভাবক মহল খুবি খুশি তার উপর। তার বিরুদ্ধে এইধরনের ঘৃণিত অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াটমূলক দাবি তাদের।

এই বাঙালি শিক্ষকের বিরোধিতা জেএসএস সন্ত্রাসীরা করার মূল কারণ হিসেবে সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়, জেএসএস সন্ত্রাসীরা বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘদিন হতে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য চেষ্টা করে আসছেন; কিন্তু প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার করতে দিতে নারাজ ছিলেন; দেশ বিরোধী বিভিন্ন সভা-সেমিনার বিদ্যালয়ে করার চেষ্টা করেছিল জেএসএস সন্ত্রাসীরা; বাঙালি প্রধান শিক্ষক তার বাধা দেওয়ার ফলে তাকে পঞ্চম শ্রেণীর মারমা উপজাতি ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে মামলা দিয়ে তাকে উক্ত বিদ্যালয় থেকে সরাতে ষড়যন্ত্র করেছে জেএসএস।

এধরণের ঘটনা নিন্দনীয়, এবং দুঃখজনক ও লজ্জাজনক৷ উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো ধর্ষণ কিংবা ধর্ষণ চেষ্টাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে প্রতিনিয়ত। এটি মূলত নিজেদের সাংগঠনিক রক্ষার তাগিদে করছে বলে সূত্রের তথ্য মতে জানা যায়।

আগের পোস্টনতুন সীমানা প্রাচীর নির্ধারিত করে জুম্মল্যান্ড স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাটছে উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
পরের পোস্টসেনা অভিযানে ১০ লাখ টাকার ভারতীয় অবৈধ ঔষধ ও প্রসাধনী উদ্ধার;পাচারকারী আটক।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন