পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় বিরামহীন প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

0

তাপস কুমার পাল, রাঙামাটি

পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা, শিক্ষার বিস্তার এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা অবিস্মরণীয়।
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অনেক সেনাবাহিনীর সদস্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছে। গত ১৮ই আগষ্ট ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে সেনাবাহিনীর টহল দলের সাথে গুলি বিনিময়ের দুইটি পৃথক ঘটনায় উপজাতি সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফ (মূল) দলের একজন শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ চার সন্ত্রাসী নিহত এবং একজন সেনাসদস্য শাহাদত বরণ করেন।
‘সমরে আমরা শান্তিতে আমরা সর্বত্র আমরা দেশের তরে’- এ মূলমন্ত্র ধারণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাহাড়ে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
স্বাধীনতার পর থেকেই অনেক ত্যাগ তিতিক্ষা ও চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য অঞ্চলকে আজ একটি বসবাসযোগ্য এবং উন্নত অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছে।
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিশ্বপরিমণ্ডলে আজ একটি অতি পরিচিত ও গর্বিত নাম।
সামরিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলাসহ যে কোন অভ্যন্তরীণ সংকট নিরসনে এবং পাহাড়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা সকল ক্ষেত্রে অসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন এবং শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ গুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে তা অন্য কোন বাহিনী কিংবা সংস্থার পক্ষে সম্ভব নয়।

সুতরাং পাহাড়ের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষা,উন্নয়ন, শিক্ষার বিস্তার এবং সন্ত্রাস দমনে অধিক হারে সেনা ক্যাম্পের বিকল্প নাই।

আগের পোস্টআমাদের দেশের বুদ্ধিজীবি ও সুশীলরা রাস্ট্রের জন্য মারাত্মক হুমকি।
পরের পোস্টসেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে নিঃসন্দেহে তাদের অবস্থান অখণ্ড বাংলাদেশের বিরুদ্ধে!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন