স্বাধীনতার পর থেকে পাকিস্তানপন্থী উপজাতি নেতা ত্রিদিব রায় এবং তার উত্তরসূরিরা বাংলাদেশকে মনে প্রানে স্বীকার করতে পারেনি।
উপজাতিদের এই দেশবিরোধী মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে খ্রীষ্টান মিশনারিরা পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে জুম্মল্যান্ড নামক একটি রাষ্ট্র গঠনে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের দেশ বিরোধী এ চক্রান্তকে আমরা অনেকে আঞ্চলিক সমস্যা বলে চালিয়ে দেই।
পার্বত্য এলাকার গুটিকয়েক লোক ব্যতীত পাহাড়ের বিবাদমান এ সমস্যা সমূহকে অনেকে অনেক হাল্কা চোখে দেখে।অধিকাংশ মানুষ পাহাড়ের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে জানেও না।
পাহাড়ের সমস্যা সমূহ পুরা জাতীর সামনে পরিস্কার করতে হবে।
উপজাতি সন্ত্রাসীরা যদি তাদের কাল্পনিক জুম্মল্যান্ড বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয় তাহলে বাংলাদেশ যে সমস্যার সম্মূখীন হবে তা অতি সংক্ষেপে নিম্নে বর্ণনা করা হল।
১. রাষ্ট্র তার এক-দশমাংশ ভূখন্ড হারাবে
২. বিপুল পরিমান প্রাকৃতিক সম্পদ(তেল, গ্যাস, কয়লা, পাথর,) হাতছাড়া হয়ে যাবে।
৩. সেগুন কাঠ সহ উন্নত মানের সকল কাঠ-বাঁশ, বন্যপ্রানী, ঔষুধি গাছ ও বনজ সম্পদ রাষ্ট্রের হাতছাড়া হবে।
৪. দেশের মোট বনভূমির পরিমাণ কমে যাবে যাতে প্রকৃতিতে বিরুপ প্রভাব পড়বে।
৫. দেশের মাথাপিছু জমির পরিমাণ কমে যাবে।
৬. রাষ্ট্রেরে ভেতর নতুন রাষ্ট্র হলে জাতি হিসেবে আমাদের দীর্ঘদিনের গর্ব ও ঐতিহ্য ধ্বংস হবে।
৭. আমাদের দেশের সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উপজাতীদের দীর্ঘকালীন অপপ্রচার সত্যি বলে প্রমানিত হবে।
৮. জাতি হিসেবে আমাদের অনৈক্য, বিশৃঙ্খলা ও দুর্বলতা প্রকাশ পাবে।
৯. আর সবচেয়ে বড় কথা বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত যে হারে প্রকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, জলোচ্ছাস বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ভবিষ্যতে এদেশের বিশাল অঞ্চল সমুদ্র তলে নিমজ্জিত হবে। তখন এই বিপুল সংখ্যক জনগনের বসবাসের জায়গাটুকু থাকবেনা।
পার্বত্য চট্টগ্রামের উচ্চ ভূমিতে অনেক লোকের বসবাসের সুযোগ থাকতো সে সম্ভাবনাটাও নষ্ট হবে। কারণ তখন জুম্মল্যান্ডে আসতে হলে বাঙালিদের ভিসা করে আসতে হবে।
অর্থাৎ এ কথা দিনের আলোর মত পরিষ্কার যে পার্বত্য ইস্যুটা মোটেও আঞ্চলিক নয় বরং বৃহৎ একটি জাতীয় সমস্যা। অথচ দু-চারজন ছাড়া বাংলাদেশের সব মানুষ এটাকে কোন গুরুত্বই দিচ্ছেনা! যা অত্যন্ত লজ্জার।