||হান্নান সরকার, খাগড়াছড়ি||
খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষীছড়ি উপজেলার দুল্যাছড়ি হতে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত মোদ্দোপাড়ায় নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজে ৪ বাঙ্গালী যুবক৷
তারা হলেন-
১. দিনমজুর নির্মাণ শ্রমিক মো. ইদ্রিস (২৩), সেই লক্ষীছড়ি উপজেলার শিলাছড়ি এলাকার রমজান আলীর ছেলে।
২. জিকু আলম (২০), সে লক্ষীছড়ি উপজেলার শিলাছড়ির মো. ইউসুফের ছেলে।
৩. মো. ইমরান, সেই লক্ষীছড়ি বাজারের নজিব সওদাগরের ছেলে।
৪. মো. সাইমন, সেই লক্ষ্মীছড়ি সদরের মো. রফিকের ছেলে।
সূত্র নিশ্চিত করে মোদ্দোপাড়া নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজে যায় বর্ণিত এই ৪ বাঙ্গালী যুবক। তাদের গতকাল- (রবিবার) ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ খ্রিস্টাব্দে বিকাল ৫ ঘটিকায় ইউপিডিএফ জোরপূর্বক অস্ত্র গুঁজে দিয়ে ছবি তোলে। সূত্রে জানা যায়, পার্বত্য চুক্তি বিরোধী বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফকে নির্মাণ কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দাবিকৃত চাঁদা নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। চাঁদা না পেয়ে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়, এবং দেশবাসীর নিকট পার্বত্য বাঙ্গালীদের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণ করতে ৪টি একে-৪৭ অস্ত্র গুঁজে দিয়ে ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ শ্রমিকদের নিজ ফেসবুক আইডি হতে ছড়িয়ে দিতে বাধ্য করে। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জনের অংশ হিসেবে হাসি মুখে ছবি তুলতে হত্যার হুমকি সহ ব্যাপক নির্যাতন করে সন্ত্রাসীরা। মূলত তারজন্যেই হাসি মুখে এই ৪ বাঙ্গালী নির্মাণ শ্রমিক ছবি তুলতে বাধ্য হয়।
সূত্রে আরো জানা যায়, সন্ত্রাসীরা পানছড়ি, লক্ষীছড়ি সহ পার্বত্যাঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় খেটে খাওয়া বাঙ্গালীদের জোরপূর্বক অস্ত্র গুঁজে দিয়ে ছবি তুলে তা নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দিয়ে বাঙ্গালীদের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রমাণ করতে বারবার ব্যর্থ চেষ্টা করে আসছে। এমন জঘন্য অপরাধ করার স্বত্বেও প্রশাসন, এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়। যার ফলে সন্ত্রাসীরা একের পর এক বাঙ্গালীকে অস্ত্র গুঁজে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে অস্ত্র সহ ছবি তোলা এসব বাঙ্গালীদের জীবন হুমকির সম্মুখীন হবে বলে মনে করেন, পার্বত্য চিন্তাবিদরা। তাছাড়া এসমস্ত ছবিগুলো দিয়ে বাঙ্গালীকে সন্ত্রাস প্রমাণ করতে উপজাতি সন্ত্রাসীরা জাতিসংঘ, এবং কূটনীতিক পর্যায়ে পাঠাবে বলেও আশংকা প্রকাশ করছে চিন্তাবিদরা।