সাধারণ উপজাতিরা সার্কেল চিফ ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন এবং ভান্তদের দাসত্বের শিকলে আবদ্ধ!

0



||তাপস কুমার পাল, রাঙ্গামাটি||
পাহাড়ের সাধারণ উপজাতিরা সার্কেল চিফ ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন এবং ভান্তদের দাসত্বের শিকলে আবদ্ধ: উত্তরণে প্রয়োজন সরকারি হস্তক্ষেপ!

পার্বত্যাঞ্চলের গরিব শ্রেণীর উপজাতিদের স্বাধীনতা, মানবাধিকার এবং আইনের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে অবৈধ সার্কেল চিফ প্রথা, সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এবং তথাকথিত ভান্ত সমাজ।
পাহাড়ের সকল বিষয়ে এই তিন শ্রেণীর লোকেরা নিয়ন্ত্রণ চালায়। পাহাড়ের পুলিশ প্রশাসন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পুতুলের ভূমিকায় অবতীর্ণ। একজন গরিব উপজাতি তার নিজস্ব কোন মতামত প্রকাশ করতে পারেনা উপজাতি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অনুমতি ছাড়া। কোন উপজাতি যদি সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার হয় তা পুলিশকে জানানা নিষিদ্ধ। কোন নারী যদি ইভটিজিং এর স্বীকার হয় তাহলে বিচার করবে উপজাতি সন্ত্রাসীরা।
ভান্তেরা হচ্ছে উপজাতি সমাজের জন্য আরেক বিষফোঁড়া। সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। বিশেষ করে কেয়াং এর পার্শ্ববর্তী এলাকার গরিব শ্রেণীর উপজাতিরা ভান্তদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। বাবা মা অনিচ্ছাসত্ত্বেও তার অবিবাহিত যুবতী মেয়েকে ভান্তদের সেবা করতে পাঠাতে হয় পালাক্রমে। অনেক মেয়ে সেবা করতে গিয়ে ভান্তদের লালসার স্বীকার হয়ে কুমারিত্ব হারিয়ে অনিরাপদ জীবনযাপন করছে।
সার্কেল চিফ গরিব শ্রেণীর উপজাতিদের সুন্দর সুন্দর মিথ্যা স্বপ্নের গল্প শুনিয়ে দেশের স্বাভাবিক স্রোতের বিপরীতে চলতে উৎসাহ যোগাচ্ছে।
পাহাড়ের গরিব শ্রেণীর উপজাতিদের বন্দিশালা থেকে রক্ষা করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু সরকার সাধারণ উপজাতিদেরকে এলিট শ্রেণীর উপজাতিদের দাসত্বের শিকল থেকে মুক্ত করতে বাস্তবমুখী কোন পদক্ষেপ নিতে লক্ষ্য করছিনা।
পাহাড়ে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা এবং এলিট শ্রেণীদের দাসত্ব থেকে সাধারণ উপজাতিদের মুক্ত করতে সরকারকে নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গুলো অতি দ্রূত বাস্তবায়ন করতে হবে।

১. প্রথমত পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতিটি এলাকায় বিশেষ করে উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী জনমত গঠন করতে হবে।

২. দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি সকল উপজাতিদের আস্থা বৃদ্ধি করতে সভা সেমিনারের আয়োজন করতে হবে। এবং এ প্রগ্রামগুলোতে অবশ্যই উপজাতি কোন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

৩. উপজাতিরা কোনো বিষয়ে দেশের প্রচলিত আইনের দারস্ত হলে সন্ত্রাসীরা তাদেরকে যে কোন মুহুর্তে আক্রমন করতে পারে। তাই সাধারণ উপজাতিদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতি উপজেলায় সেনা জোন এবং প্রতি ইউনিয়নে সেনা ক্যাম্প স্থাপন করতে হবে।

৪. উপজাতি এবং বাঙালিদের মধ্যে সম্প্রতি সমাবেশ করতে হবে।

৫. আঞ্চলিক সকল সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে।

আগের পোস্টবাঘাইহাট জোন কর্তৃক বিশেষ অভিযানে অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার।
পরের পোস্টপাহাড়ের অরক্ষিত সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে না পারলে সন্ত্রাসীদের দমন করা অসম্ভব হবে।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন