||মোবারক হোসেন, খাগড়াছড়ি||
মহালছড়িতে বাঙ্গালীদের জমিতে বাঙ্গালীরা ঘর নির্মাণ করছে- এতে ইউপিডিএফের অপপ্রচার কেন?? এর বিরুদ্ধে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ (মূল) সন্ত্রাসীরা প্রতিবাদ হিসেবে একের পর এক মানববন্ধন করে যাচ্ছে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করে। মোদ্দাকথা হচ্ছে খুবি অপপ্রচার সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হচ্ছে এখন এই নিয়ে।
প্রকৃত সত্য জানার জন্য আমরা মাইসছড়ি ইউপি’র ৩নং ওয়ার্ডের মানিকছড়ি হাজাছড়ি এলাকার স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি, এবং যে, সমস্ত বাঙ্গালী ঘর নির্মাণ করেছে তাদের বক্তব্য নিয়েছি। ইউপিডিএফ কেন বাঙ্গালী বসতিস্থাপনের বিরোধিতা করে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখেছি৷ স্থানীয়দের ভাস্যমতে জানা যায়,
গতকাল (শনিবার) ০৯ অক্টোবর ইউপিডিএফ বাঙ্গালীদের রেকর্ডীয় জমিতে নির্মাণাধীন ঘর ভেঙে দিয়েছে। একটি মোটরসাইকেলও ভেঙ্গে দিয়েছে৷ ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছে বাঙ্গালীদের সরিতে দিতে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইউপিডিএফ বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অপপ্রচার রটিয়ে পার্বত্যকে অশান্ত করার পায়তারা করছে। আর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন বরাবরই নিরবতা ভূমিকা পালন করছে।
ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতারাও মহালছড়ির চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে একদম নারাজ। যদিও অভিযোগের তীর তাদের দিকে।
এদিকে সমতলের মানুষ ইতোমধ্যে পার্বত্য বাঙ্গালীদের সম্পর্কে বরাবরের মত ভূমি বিষয়ে ভূল মেসেজ পাচ্ছে। তারা মেসেজ পাচ্ছে বাঙ্গালীরা পাহাড়ে ভূমি দখলদার। এমনটা ইউপিডিএফ অনলাইনে প্রচার করছে। আরো প্রচার করছে নিরীহ পাহাড়িদের ভূমি বাঙ্গালীরা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা দখল করে পাহাড়িদের উচ্ছেদ করছে! অথচ সরেজমিনে গিয়ে এইধরনের কোন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। সাধারণ পাহাড়িরা বলছেন, এসব ইউপিডিএফের ভাঁওতাবাজি। যেটা মানুষ সমতল থেকে শুনে সেটা একদম ডাহা মিথ্যা। এর বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই।
পাহাড়ের প্রকৃত বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে বাঙ্গালীরা তাদের কাগজপত্রের বৈধ জায়গাতে ঘর নির্মাণ করছে৷ এটাকে অপশক্তি, এবং দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী ভিন্নভাবে প্রবাহিত করে ফায়দা লুটে নেওয়ার জন্য মতলববাজি শুরু করেছে৷
ইউপিডিএফ মদদপুষ্ট কিছু উপজাতি জায়গাটি তাদের বলে দাবি করেছেন ঠিক কিন্তু প্রকৃত পক্ষে জায়গা তাদের নয়। তাদের থেকে বৈধ মালিকানার কাগজপত্র কিংবা সরকারকে খাজনা দেওয়ার মত কোন প্রমাণপত্রও নেই৷ তারা আমাদের প্রতিনিধি দলকে কোনপ্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
বাঙ্গালীদের অভিযোগ তাদের নির্মাণাধীন ঘর, এবং জমি সহ আশে-পাশের পাহাড়গুলো তাদেরকে সরকার ১৯৮০/১৯৮১ সনে কবলিত দিয়েছে৷ তারা দীর্ঘবছর ধরে সরকারকে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। ইউপিডিএফ বাঙ্গালীর আধিপত্য ও বসতিস্থাপন ঠেকাতে নানান মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে৷ ইউপিডিএফের এই বিরোধীতার মূল কারণ যেটা প্রকাশ্যে এসেছে, সেটা হলো- উক্ত ৫ একর জায়গাতে বাঙ্গালীরা বসতি স্থাপন করলে ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী কার্যক্রম, এবং চাঁদাবাজি করতে বাধার সম্মুখীন হতে হবে। তারজন্য ইউপিডিএফ প্রথাগত ভূমি অধিকার অথাৎ পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসন-বিধি দেখিয়ে ভূমি দখলের অজুহাত তুলছে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে।