||মোবারক হোসেন, রাঙ্গামাটি||
বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারো রক্তের হোলি খেলায় নেমেছে পাহাড়ের আঞ্চলিকদলীয় সশস্ত্র সন্ত্রাসী সন্তু লারমার জেএসএস।
তারই ধারাবাহিকতায় ১৭ অক্টোবর রোববার মধ্যরাতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলাধীন চিৎমরম ইউনিয়নের আগাপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় ঢুকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও আসন্ন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী নে থোয়াই মারমাকে গুলি করে হত্যা করেছে একদল সশস্ত্র জেএসএস সন্তু সন্ত্রাসী।
কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমরা জেনেছি আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী নেথোয়াই মারমাকে গুলি করে হত্যা করেছে একদল সন্ত্রাসী, পুলিশ সেখানে যাচ্ছে। ঘটনাস্থলে গেলে বিস্তারিত জানতে পারব।
এদিকে, রাত সোয়া একটার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে ষ্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মূছা মাতব্বর। আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকল চেয়ারম্যান প্রার্থীগণকে সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন।
বেশ করে জেএসএস সন্তু ও ইউপিডিএফ প্রসতি নির্বাচনে নিজেদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে সরকার দলীয় প্রার্থীদের হত্যার মিশন পরিচালনা করে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, উক্ত চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদ এলাকাটিতে আঞ্চলিক দল জেএসএস-এর আধিপত্য রয়েছে এবং তাদের সমর্থনীয় একজন জনপ্রতিনিধিও রয়েছে। তাই নিজেদের আধিপত্য নিশ্চিত রাখতে ক্ষমতাসীনদল আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীকে হত্যার মাধ্যমে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলটির তৃণমুল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অংসুই ছাইন চৌধুরী জানিয়েছেন, নেথোয়াই মারমা এতদিন উপজেলা রেস্টহাউজে ছিল। আজই মনোনয়ন জমা দিয়ে চিৎমরমে এলাকায় গিয়েছিলো নেতাকর্মী ও স্বজনদের সাথে দেখা করতে। রাতে তার নিজ বাড়িতে জেএসএস-এর একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে তাকে গুলি করে হত্যা করে গেছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।