তাপস কুমার পাল, রাঙ্গামাটি
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে একটি কুচক্রী মহল হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দিরে এবং উপসানালয় হামলা চালিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশকে বহির্বিশ্বের দরবারে সম্মানহানি করার অপচেষ্টায় মত্ত হয়েছে।
সরকার সেই কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে, এবং নিচ্ছে।
কিন্তু এই ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা তৈরি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ ও পিসিপি।
হাস্যকর বিষয় হচ্ছে যারা পাহাড়ে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে তারাই নাকি সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে কথা বলে।
ইউপিডিএফ যদি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় তাহলে সবার আগে তাদেরকে সন্ত্রাসের পথ পরিহার করতে হবে। মুসলিম এবং হিন্দু সম্প্রদায় তো দুরের কথা পাহাড়ে স্বজাতি সাধারণ উপজাতিরাও ইউপিডিএফের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
সেই সন্ত্রাসীরা যদি কারো জন্য মায়াকান্না করে সে যে স্পষ্ট ভণ্ডামি তা আর বলার বাকি রাখেনা।
ইউপিডিএফ সহ আঞ্চলিক উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো কোন ইস্যু পেলেই বহির্বিশ্বে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে উপজাতি সমাজকে দেশদ্রোহী করে গড়ে তোলার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি, যখন দেখি প্রশাসনের নাকের ডগায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এবং পাহাড়ে দাঙ্গা তৈরির মত ইউপিডিএফের কর্মসূচিতে প্রশাসন নিরব থাকে।
প্রশ্ন আশে প্রশাসন কি ইউপিডিএফ কে ভয় পায়??
যদি ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের ভয় পান তাহলে চাকরি ছেড়ে দিন, অন্যথায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের সকল সন্ত্রাস এবং দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতি গ্রহণ করে পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিত করুন।