চাকমা রাজ পরিবারের গোপন ইতিহাস!

0

ডেস্ক রিপোর্ট

চাকমা রাজ পরিবারের শাসকরা সবসময়ই চাকমা জাতিকে গোলাম বানিয়ে রাখার প্রচেষ্ঠা করেছে। যাতে যুগের পর যুগ প্রজাদের মাথায় লবণ রেখে বরই খেতে পারে। সেই চিন্তা চেতনা নিয়ে চাকমা প্রজাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও উন্নত জীবন ব্যবস্থা থেকে দূরে রাখতে একঘেয়েমি শাসন ব্যবস্থা ও কথিত রাজ প্রথার প্রচলন পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে বিদ্যমান রাখে। সেই ইতিহাস গোপন রাখার জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করেও সফল হয়নি চাকমা রাজপরিবার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে (বৃহস্পতিবার) ৯ ডিসেম্বর PT Chakma নামক ফেসবুক একাউন্ট হতে রাত ৭টায় চাকমা রাজপরিবারের জুলুম অত্যাচার তুলে ধরেন।

PT Chakma -এর ফেসবুক পোস্টটি পাঠকমণ্ডলীর জ্ঞাতার্থে হুবহু তুলে ধরা হলো নিম্নে

এত বড় অপরাধ, এত বড় ভুল ইতিহাস কোনদিন ক্ষমা করবে না এবং সেই ভুলের মাশুল গুনতে রাজি নয় এই প্রজন্ম বা পরের প্রজন্মও।

আমাদের রাজা রানীরা ছিলেন ঘোর শিক্ষা বিরোধী, ঘোর একঘেয়েমি শাসক এবং বৈষম্যবাদী। নিজেরা ছিলেন স্বার্থবাদী, অহংকারী আর প্রতিহিংসা পরায়ন। তার প্রমান এরা স্বজাতিকে শিক্ষার অধিকার দেয়নি বরং পুরো জাতিকে সংস্কৃতি ঐতিহ্য ভাষা অক্ষর এবং অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখেছেন। তাদের মনমানসিকতা এমন নিন্নমানের ছিলো যে, খাদ্য থেকে বাসস্থান পর্যন্ত হরন করেছিলেন। আলু খাওয়া নিষেধ ছিলো, ভালো মানের ঘর বাড়ি তৈরি নিষিদ্ধ ছিলো, কাপর চোপর পড়া ছিলো তাদের বারন। রাজা রানী এততা বৈষম্যবাদী ছিলেন একজায়গায় এক মাপে বসতে দিতো না উঁচু আসনে বসতে দিতো না অর্থাৎ চেয়ারে ও বসতে দিতো না। এক কথায় বর্বর শাসক ছিলেন আমাদের রাজ বংশীয়।

ভাগ্যক্রমে চিত্ত কিশোর লারমা এবং কৃষ্ণ কিশোর লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষার আন্দোলন গড়ে উঠে এবং তার অবদানে জাতি আজ এতদূর। এই দুই জন বিপ্লবী না হলে এই জাতি এখনো এর চেয়ে বেশি ঘুমন্ত থাকতো।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More