রাঙ্গামাটিতে উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান হত্যা মামলায়: ৪ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার।

0
111

রাঙ্গামাটিতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের শপথগ্রহণের শেষে গ্রেপ্তার হয়েছেন চার ইউপি চেয়ারম্যান। অদ্য (মঙ্গলবার) ২৫ জানুয়ারী ২০২২ খ্রিস্টাব্দে সাড়ে তিনটার সময়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শপথগ্রহণ শেষে চার ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন (এসপি) । গ্রেপ্তারকৃতারা হলেন- রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার কুতুকছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কানন চাকমা এবং নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অমল কান্তি চাকমা, বুড়িঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রমোদ খীসা ও সাবেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুপম চাকমা।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার হওয়া চার ইউপি চেয়ারম্যানই নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার আসামি।
২০১৮ সালের ৩ মে নানিয়ারচর উপজেলার চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তিনি জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় নানিয়ারচর থানায় একই বছরের ৮ মে মামলা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই এডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ছিলেন বলে জানান পুলিশ সুপার।
রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেন (এসপি) বলেন,‘ বিকেল সাড়ে তিনটার সময়ে ওয়ারেন্টভূক্ত ৪ ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ছিল। সে হিসেবে মামলার ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তাপস রঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃত চারজনই ২০১৮ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যা মামলা সহ নানিয়ারচর থানায় শান্ত চাকমা ও কালাময় চাকমা হত্যা, লংগদু থানায় নিরিহ রঞ্জন চাকমা হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। কালাময় চাকমার হত্যা মামলার বিচার কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। আমরা তাদের গ্রেফতারের জন্য খুঁজছিলাম। আজ (মঙ্গলবার) একসাথেই পেয়েছি। তবে তারা যেহেতু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি,সেহেতু আদালত যেভাবে নির্দেশনা দিবেন,সেভাবেই পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

৪ ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার বিষয়ে জেএসএস এম.এন সংস্কার গ্রুপের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক নেতা জানায়, এই ৪ চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী ছিল৷ তারা সবাই ইউপিডিএফ প্রসিত বিকাশ খীসার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সহযোগী। তাদের নেতৃত্বে নানিয়ারচর উপজেলা শক্তিমান চাকমাকে হত্যা করা হয় এবং তার শেষকৃত্যে অংশ নিতে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথিমধ্যে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন জ্যোতি বর্মা সহ ৬জনকেও গুলি করে হত্যা করা হয়।

এদিকে নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, তাদের বিরুদ্ধে যেহেতু গ্রেফতারী পরোয়ানা ছিল নির্বাচনের পূর্বে গ্রেফতার করা উচিত ছিল বা শপথ গ্রহণের পূর্বেও গ্রেফতার করার প্রয়োজন ছিল। তারা যখন নমিনেশন ফরম জমা দিয়েছিল তখন কেন তাদের গ্রেফতার করা হয়নি! এখন তো তারা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তাই তাদের গ্রেফতার করার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আটককৃত নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের এখন জামিন পাওয়া সহজ হবে। যেহেতু তারা সবাই জনপ্রতিনিধি।

আগের পোস্টবেতবুনিয়া থেকে সেনা অভিযানে অস্ত্র ও চাঁদার রশিদ সহ দুই ইউপিডিএফ সদস্য আটক।
পরের পোস্টপার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন