দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে উপজাতি ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা বাঙ্গালীর পেঁপে গাছ কেটে দিয়েছে!

0

 

মোঃ সোহেল রিগ্যান– গতকাল শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের ঝরনাটিলা বিজিবি ক্যাম্পের দক্ষিণ পাশে মো. ওসমান নামের এক কৃষকের শতশত পেঁপে গাছ ও আমগাছ কেটে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা।

বাগানের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মো. ওসমান জানান, এই বাগানের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার হুমকি দিচ্ছিলো বছর খানেক আগে থেকে। পরে তাদের কাছে নামে মাত্র দাম দিয়ে বিক্রি করার জন্যও চাপ দিচ্ছিলো ‘ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’ (ইউপিডিএফ)। এর কিছুদিন যেতেই সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবি করে। নির্ধারিত সময়ে তাদের দাবিকৃত চাঁদা দিতে ব্যর্থ হওয়াতে রাতের অন্ধকারে এই বাগানের প্রায় ৭ শতাধিক পেঁপে ও আম গাছ কেটে ফেলে উপজাতি সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয় বাঙ্গালীরা জানায়, ৭ শতাধিক পেঁপে গাছ ও আম গাছ কেটে ফেলার কারণে বিশাল ক্ষতিসাধনের মুখে পড়েছে কৃষক মো. ওসমান। প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বাগানের গাছগুলো কাটা অবস্থায় রয়েছে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে পেঁপে৷

সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীরা উপজাতি ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের হত্যা, অপহরণ, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ। সাধারণ মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই এ জনপদে৷ ইউপিডিএফ উক্ত এলাকার বাঙ্গালীদের দীর্ঘদিন থেকে জায়গাগুলো হতে উচ্ছেদ করতে মরিয়া৷ তারই ধারাবাহিকতায় তারা মো. ওসমান কে জায়গাটি ছেড়ে যেতে হুমকি প্রদর্শন করে এবং চাঁদা দাবি করে।

ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা কতটা হিংস্র এবং জানোয়ার তা তারা পেঁপে ও আম বাগান কেটে দিয়ে তাদের পরিচয় জানান দিয়েছে৷

কৃষক মো. ওসমান সরাসরি এই অমানবিক কাজের জন্য ইউপিডিএফকে অভিযুক্ত করছে৷ স্থানীয় প্রশাসন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে আন্তরিত নয় বলেও জানা যায়৷ এখন পর্যন্ত প্রশাসন কাউকে আটক করতে পারেনি!
সূত্রে জানা যায়, এখানে উপজাতি ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা অনেক শক্তিশালী৷ স্থানীয় বাঙ্গালী দালাল ও উপজাতীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ইউপিডিএফ এখানে মূর্তিমান আতঙ্ক। রাজনৈতিক নেতারা ইউপিডিএফ এর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। তাই রাজনৈতিক নেতাদের কথার বাহিরে গিয়ে প্রশাসনের পক্ষে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়। এর ফলে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীরা নির্বিঘ্নে এখানে সন্ত্রাসী তৎপরতা, অপহরণ, খুন-গুম ও চাঁদাবাজি করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে রাখতে পেরেছে।

আগের পোস্টসন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসায় মংসিংশৈ মারমাকে জেএসএস হত্যা করে!
পরের পোস্টসবুজে ঘেরা পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন যেন রক্তের হলি খেলায় পরিণত হয়েছে।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন