হিলট্র্যাক্ট রেগুলেশন ১৯০০ (পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি) মৃত্যু আইন পুন:বহাল রাখার দাবীতে মৌজার হেডম্যানগণ স্মারকলিপি প্রদান করেছে। তারা বান্দরবানের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ইয়াসমিন পারভীন তিবরীজি ও রাঙামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মিজানুর রহমানের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করে। আজ বুধবার (২ মার্চ) ২০২২ খ্রিস্টাব্দের সকাল ১১ টায় বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি জেলার বিভিন্ন মৌজার হেডম্যানগণ এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় রাঙ্গামাটির হেডম্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা উপস্থিত ছিলেন।
গতমাসের ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ খ্রিস্টাব্দে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হিলট্র্যাক্ট রেগুলেশন ১৯০০ (পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি) নিয়ে আপিল রিভিউর জন্য উত্থাপন করা হয়। আদালত আইনটি আরো পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সময় নেয়।
সর্বোচ্চ আদালত ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি ১৯০০’- কে সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও কার্যকর হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিভিউ পিটিশনের পুনরায় শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দিন ধার্য করে।
মূলত এই প্রেক্ষিতে মৃত্যু আইনটি পুন:বহাল রাখার অংশ হিসেবে ডিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে হেডম্যান এসোসিয়েশন।
২০০৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এক মামলায় এ আইনকে মৃত আইন ঘোষণা করা হয়। বিচারপতি এসকে সিনহা রাঙ্গামাটি ফুড প্রোডাক্ট ও কাপ্তাই ওয়াগ্গাছড়া চা-বাগান মামলার রায়ের মাধ্যমে হিলট্র্যাক্ট রেগুলেশন ১৯০০ কে সাংবিধানিক বৈধতা ও কার্যকর করার রায় দেন। বর্তমান সরকারের আমলে ২০১৭ সালে আপীল বিভাগ এ রায়কে খারিজ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম রেগুলেশন ১৯০০ বৈধ এবং কার্যকর আইন মর্মে ঘোষণা করে। আপীল বিভাগের উক্ত রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে ২৫ অক্টোবর আব্দুল আজিজ নামে একজন আপীল বিভাগে পুনরায় রিভিউ আবেদন করে।
উল্লেখ যে, হিলট্র্যাক্ট রেগুলেশন ১৯০০ কে সাংবিধানিক বৈধতা দিলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীরা ভূমি অধিকার হতে বঞ্চিত হবেন এবং এ অঞ্চল থেকে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ হারাবে।