সন্ত্রাসী দমনে নিরাপত্তা বাহিনীর দায়িত্ব পালনে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন রুপ আপোষ না করায় প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা বাহিনীর বিরোধিতা করে সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ। এরই ধারাবাহিকতায়
গত ৩১শে মার্চ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবাসীদের সংগঠন Jumma People’s Network -Korea (JPNK) ইউপিডিএফ এর একটি চক্রান্তকারী দল রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করে। যা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন রাস্ট্রব্যবস্থাকে লজ্জার মুখে ফেলেছে। তাদের যে, বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়, তা নিঃসন্দেহে জনমতে প্রশ্ন তৈরি হওয়ার মতো। তারা এত ভালো হলে শত শত লোক পাহাড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে তাদের বেলায় কোন প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি কেন? একজন সন্ত্রাসীর পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ করে তারা রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরোধিতা করেছে স্পষ্ট। এবং তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তা স্পষ্ট হয়েছে।
উপরোক্ত তারিখে বিক্ষোভ শেষে তারা ৬ দফা দাবী সরকারের নিকট জানিয়েছে। যা হাস্যকর। তারা প্রকৃত দেশ প্রেমিক হলে গত কিছুদিন পূর্বে বান্দরবানে সেনা অফিসার হত্যাকাণ্ড বিষয়ে তো কোন দাবী জানাই নি ও বিক্ষোভ করেনি। সন্ত্রাসীর পক্ষ নিয়ে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সেই অবস্থান জানান দিয়েছে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী সংগঠনটি। ৯৭ সনের ২-রা ডিসেম্বর এ পার্বত্য চুক্তির পরও পাহাড়ে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করে প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা বাহিনীসহ সাধারণ জনগনকে নির্দিধায় হত্যা করছে সন্ত্রাসী উপজাতি দলগুলো। এছাড়া পাহাড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ ও জেএসএস এর হাতে দমন -পীড়ন ও গুমের সংবাদ নিত্য প্রকাশিত সংবাদের চিত্র।
উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবাসীদের সংগঠন JPNK দীর্ঘ দুই যুগ ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী কমর্কাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসতেছে। এর পাশাপাশি সংগঠনটি পার্বত্য চট্টগ্রামে আর্থ – সামাজিক উন্নয়নের পথে সব চেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হতে তাদের বৈদেশিক অর্থে অস্ত্র সরবরাহসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত রয়েছে। সরকার ও প্রশাসন এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন না হয় অদূর ভবিষ্যতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে আরো অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিবে তারা।