গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ) সন্ধ্যা সাতটার সময় জেএসএস সন্তু লারমার ‘জেএলএ’ সশস্ত্র সন্ত্রাসী ১৫ জনের গ্রুপ উক্যসিং মারমা বাবু নেতৃত্বে সীতাপাহাড় পাড়া, ডলুছড়ি ১ নং ওয়ার্ড, ২ নং রাইখালী ইউনিয়নের একই পরিবারের দুইজন নীরিহ স্বামী ও স্ত্রীকে পিটিয়েছে। দুইজন স্বামী-স্ত্রী বর্তমানে চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টান মিশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মারধরের শিকার থোয়াইচাই মারমা (৪৩) পিতা: মৃত চাইহ্লাপ্রু মারমা, স্ত্রী চিংঞো মারমা (৩৫) তাদের প্রতি অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে ভয়ঙ্কর রুপে।
আহত দম্পতির ছেলে সুইহ্লা চিং মারমা জানান, সন্ত্রাসীরা সকলে সবুজ পোশাক পরিহিত ছিল। তাদের থেকে ভারী অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা ছিল।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, উক্যসিং মারমা বাবু জেএসএস সন্তু গ্রুপের উক্ত এলাকার কমান্ডার, তার নেতৃত্বে এখানে প্রায় সময় চাঁদাবাজি ও অপহরণের ঘটনা ঘটে৷ এখানে তার রাজত্ব চলে৷ এলাকার মানুষ তার নির্যাতনে অতিষ্ঠ৷ মানুষের উপর চরম অমানবিক নির্যাতন, অত্যাচার করার মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এলাকায় চাঁদাবাজি করে৷ এই এলাকায় উক্যসিং মারমা বাবু একটি আতঙ্কিত নাম। এর আগে কাপ্তাই উপজেলায় সে বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডেরও নেতৃত্ব দেয় বলে জানা যায়। গ্রুপ কমান্ডার উক্যসিং মারমা বাবু (৩৩), সে কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের ডলুপাড়ার মংসুইউ মারমার ছেলে।
দম্পতির উপর হামলার সময় জেএসএস সন্ত্রাসী উক্যসিং মারমা বাবু সঙ্গে যারা অংশ নেয় তারা হচ্ছেন-জনি মারমা, নিংথোয়াই মারমা, মেফা মারমা, থোয়াইসুইনুং মারমা, আলুমং মারমা (খইয়া), ( লাবৃসাই মারমা ( লাবু), অমরলেন্দু তনচংগ্যাসহ মোট ১৫ জন সন্ত্রাসী।
আহত এই দুই নীরিহ স্বামী স্ত্রীর কোন রাজনৈতিক দলের সাথে কোন সম্পৃক্ততা নেই। পাড়ায় তাদের একটি চা দোকান আছে৷ মূলত নিরিহ দোকানদার থেকে চাঁদা না পেয়ে জেএসএস মারধর করে। তার বেপরোয়া মারধরের কারণে থোয়াইচাই মারমার বুকের পাঁজর এর একটি হাড় ভেঙে গেছে, এবং হাতও কুপিয়ে মারাত্মক আঘাত করে। তাদের স্বামী ও স্ত্রীর অবস্থা তেমন ভালো নয়, উন্নয়ন চিকিৎসার জন্য তাদের হয়তো অন্য হাসপাতালে নেওয়া হতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন, কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এই নৃশংস হামলা হতে প্রমাণিত যে, জেএসএস সন্তু একটি সন্ত্রাসীদল, তারা পার্বত্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদল। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির দোহাই দিয়ে এবং স্বজাতি আন্দোলনের সাইনবোর্ড বিক্রি করে তারা এ অঞ্চল হতে বছরের ৭০০ কোটি টাকা চাঁদাবাজি করে। তাদের হাতে নিরিহ উপজাতি-বাঙ্গালী কেউ নিরাপদ নয়। তারা যদি প্রকৃত পক্ষে উপজাতিদের অধিকার আদায়ে কথা বলে থাকে তাহলে এই নিরিহ দম্পতির উপর কেন হামলা করলো?