বলছিলাম, রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ এর সাবেক চেয়ারম্যান বড় ঋষি চাকমা ও বর্তমান চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমার প্রসঙ্গে। এই দুই সন্ত্রাসী সমগ্র বাঘাইছড়িকে নরকে পরিণত করেছে৷ তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হানাহানি, সংঘর্ষ ও চাঁদাবাজিতে এখানকার উপজাতি-বাঙ্গালী কেউ ভালো নেই৷ বিগত বছরগুলোতে বাঘাইছড়ি যতগুলোই প্রাণ গেছে, এবং অপহরণ ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেছে সবই সুদর্শন চাকমা ও বড় ঋষি চাকমা মধ্যকার আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদার টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ঘটেছে। জেএসএস সন্তু গ্রুপের বড় ঋষি চাকমা আর জেএসএস এম.এন গ্রুপের সুদর্শন চাকমার মধ্যকার বিরোধ চরমে। যার বলির পাঠা এখন সাধারন নীরহ জনগন এবং এই বিরোধের বলি বাঘাইছড়ি বাসী। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন নির্বাচন শেষ করে উপজেলা সদরে ফিরে আসার পথিমধ্যে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সরকারি ব্যক্তিদের উপর অতর্কিত ব্রাশফায়ার করে ৭জনকে হত্যা করা হয়। এরপর হতে বাঘাইছড়ি একের পর এক লাশ পড়ছে আর অপহরণসহ নির্যাতন অব্যাহত আছে। এখানকার মানুষগুলো সবসময় নিরাপত্তাহীনতায় থাকে৷ কখন কে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারায় আর কে হয় তাদের টার্গেট৷ এই দু’টি সন্ত্রাসী গ্রুপ বাঘাইছড়ি উপজেলার মানুষের উপর স্টিমরোলার চালিয়েছে আসছে। দু’জনের রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি৷ বাঘাইছড়ি বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ উপজেলা৷ এই উপজেলায় প্রাকৃতিক সম্পদের ভরপুর৷ এখানকার মানুষের ব্যবসা বাণিজ্য ও জীবন জীবিকানির্বাহ সবকিছুই নির্ভর করে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর ভর করে। মানুষদের নিত্য জীবনে প্রয়োজনীয় সবকিছুই হতে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে বড় ঋষি চাকমা ও সুদর্শন চাকমার জেএসএস সন্তু ও জেএসএস এম.এন। আরো আছে ইউপিডিএফ প্রসীত। মোট তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপের চাঁদাবাজিতে বাঘাইছড়িবাসী পিষ্ট৷ যদিও পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য অঞ্চলেও একই কায়দায় এই তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদাবাজি, হত্যা, অপহরণ ও রাষ্ট্রদ্রোহীতামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে। কিন্ত তারা বাঘাইছড়িতে তা সীমাহীন ভাবে করছে৷ কোন সেক্টর তাদের অত্যাচারের বাহিরে নেই। সরকারি বেসরকারী সব কিছুই তাদের টেক্স দিয়ে চলতে হয়। বিভিন্ন চাকরীজীবীদের বেতনের একটি অংশ তাদের চাঁদা দিয়ে সেখানে চাকরি করতে হয়। যা বিগত বছরগুলোর কর্মকাণ্ডে প্রতিয়মান। বড় ঋষি চাকমার তিনটি অস্ত্র বুকে জড়িয়ে ধরা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি! যা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যর্থতা বলে মনে করছে।
বড় ঋষি চাকমা বাঘাইছড়ি থানার একাধিক হত্যা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলার পলাতক আসামী৷ তার বিরুদ্ধে সেনা সার্জেন্ট মুকুট চাকমাকে অপহরণ পূর্বক হত্যার মামলা রয়েছে৷ সূত্রে জানা যায় তার বিরুদ্ধে বাঘাইছড়ি থানায় প্রায় ১৫ টি মামলা রয়েছে। এবং সুদর্শন চাকমার বিরুদ্ধে হত্যাগুমসহ অনেক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে৷
বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, বড় ঋষি চাকমা পলাতক থেকে চাঁদাবাজি, হত্যাকাণ্ড ও অপহরণ বাণিজ্য করছে আর সুর্দশন চাকমা সরকারি চেয়ারে বসে এসব করছে৷ তাদের এই একের পর এক মানুষ হত্যা, অপহরণ ও অত্যাচার-অবিচার বন্ধ করার যেনো কেহই নেই৷ উপজেলা সদরে এবং ইউএনও’র পিআইও অফিসে এসে মানুষ হত্যা করে সন্ত্রাসীরা৷ এই থেকে তো বুঝা উচিত বাঘাইছড়ির মানুষ কতটা নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আর এখানকার সন্ত্রাসীরা কতটা শক্তিশালী প্রশাসন ও জনসাধারণকে তা প্রকাশ্যে দেখিয়ে দিয়েছে৷ জনসাধারণের নিরাপত্তায় এ দুই কিলার পিসাষের অবসান ও তাদের অত্যচার থেকে বাঘাইছড়ি বাসী মুক্তি চায়। প্রত্যেক সচেতন মহলের দাবী নিরাপদ বাঘাইছড়ি দেখতে চাইলে সন্ত্রাসীদের জনসম্মুখে বিচার করে শাস্তি দিতে হবে। না হয় দিন দিন পরিণতি আরো খারাপ ও ভয়াবহ রুপ ধারন করছে।