জেএসএস এর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পাহাড়ের জনসাধারণ।

0

পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু গ্রুপের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পার্বত্যবাসী। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সন্তুুর সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি। রেহাই পাচ্ছে না উপজাতি বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা। মুখ বুজে সহ্য করে যাচ্ছে তারা কেননা মৃত্যুর ভয় যে তাদের কে প্রতিনিয়ত ভাবায়। স্বজাতি কর্তৃক এমন জঘন্য চাঁদাবাজি একমাত্র পাহাড়ের সন্ত্রাসী দ্বারা সম্ভব। পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা চাই পাহাড়ে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হোক। এবং তাদের জীবনমান উন্নয়নের দিকে অগ্রসর হোক। প্রতিটি রাষ্ট্রের সাথে আধুনিকতার ছোঁয়ায় পৌঁছাতে চাই তারা। কিন্তুু সেটি সম্ভব হয়ে উঠে না পাহাড়ের কিছু সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের কারণে। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাধা প্রদান করে। বিগতবছর গুলোতে আমরা তা স্বচোখে প্রত্যক্ষ করেছি।

রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি, বরকল, বাঘাইছড়ি আংশিক, লংগদু ও বান্দরবান জেলার বেশকিছু এলাকা ও খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি, দীঘিনালা আংশিক জেএসএস নিয়ন্ত্রিত। এই এলাকা গুলোর পাহাড়িরা চাঁদাবাজির স্বীকার৷ প্রতিটি পরিবারকে বাৎসরিক ও এককালীন চাঁদা দিয়ে বসবাস করতে হয়। এছাড়াও ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করতে মাসিক, বাৎসরিক ও এককালীন চাঁদার টোকেন সংগ্রহ করতে হয়। পাহাড়িদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনা-বেচার ক্ষেত্রেই জেএসএসকে চাঁদা দিতে হয়। এমন কোনো পণ্য নেয় যেখানে জেএসএসকে চাঁদা দিতে হয়না। যানবাহন চলাচলে তো চাঁদা আছেই। জেএসএস এই চাঁদাবাজি প্রকাশ্যে বা গোপনে করে। এটা পাহাড়ের সকল শ্রেণীর মানুষ অবগত৷ কিন্তু অবৈধ অস্ত্রের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায়না৷

১৯৯৭ এর পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির নীতিমালা রক্ষায় পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সরকারি বাহিনী গুলোকে আরো তৎপর হতে হবে৷ অন্যথায় পাহাড়ে শান্তি ফিরে আনা কখনো সম্ভব হবেনা। প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প গুলো পুনঃস্থাপন সময়ের দাবি।

আগের পোস্টবন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে মারিশ্যা জোন (২৭ বিজিবি’র) ত্রাণ সামগ্রী ও চিকিৎসা সহায়তা।
পরের পোস্টনাইক্ষংছড়ি বাইশারির ভূমি দস্যু ধুইনছাই মার্মার হয়রানির শেষ কোথায়?

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন