মোঃ সোহেল রিগ্যান– পার্বত্য চট্টগ্রামে কোন পাহাড়ি নারী বাঙ্গালী পুরুষ কর্তৃক ধর্ষিত হলে তার জন্য সমগ্র বাঙ্গালীকে ধর্ষকের তকমা দেওয়া হয়। এজন্য পাহাড়ীদের অধিকারের কথা বলে গর্জে ওঠা তথাকথিত পাহাড়ি সংগঠনগুলো বিবৃতি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে খুবি জঘন্য মিথ্যাচার করে থাকেই। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এদেশের তথাকথিত সুশীল, রাম-বামরাও পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙ্গালীদের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে। কিন্তু পাহাড়ে যখন কোন পাহাড়ি নারী স্বজাতি পুরুষ কর্তৃক ধর্ষিত হয় তখন কিন্তু তাদের কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখা যায়না এবং এই নিয়ে চুলছেরা বিশ্লেষণ করতে দেখা যায় না। তাদের শুধুমাত্র দেখা যায়, বাঙ্গালী পুরুষের সঙ্গে পাহাড়ী নারীর সম্পর্ক ও কথিত ধর্ষণ ইস্যুতে।
উপরোক্ত কথাগুলো এই জন্য বলছিলাম যে, গত ২৭ জুন ২০২২ খ্রিঃ রাত ৮ ঘটিকায় খাগড়াছড়ি দেওয়ানপাড়ায় এক চাকমা নারী পাহাড়ী একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দ্বারা গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়। তারপরও এই বিষয় নিয়ে অন্যান্য পাহাড়ী সংগঠন, এবং এদেশের তথাকথিত সুশীল ও রাম-বামরা এই নিয়ে একটু টু শব্দও করেনি। তারা বিষয়টি নিয়ে রহস্যজনকভাবে নিশ্চুপ। খোদ মানবতাবাদীরাই নিশ্চুপ!
ধর্ষণ ঘটনায় খাগড়াছড়ি সদর থানায় গত ২ জুলাই ২০২২ খ্রিঃ মামলা হয়েছে, আসামীরা ১. পিন্টু চাকমা, ২. সাধু চাকমা, ৩. জেকশন চাকমা।প্রশাসন বাঙ্গালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে যেভাবে তৎপর হয় সেভাবে কিন্তু পাহাড়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তৎপর হয়না৷ এখানে প্রশাসনকে এক চুক্ষনীতি অবলম্বন করতে দেখা যায়! খাগড়াছড়ি দেওয়ান পাড়ার ধর্ষিত নারীর পক্ষে প্রশাসনকে দেখছি না আর এখন পর্যন্ত ধর্ষক ও নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার করতে পারিনি!
এই থেকে অনুমেয় যে, পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী নারী যদি স্বজাতি কর্তৃক ধর্ষিত কিংবা নির্যাতিত হয় তার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন বা আইনের শাসনের ব্যর্থতার দায় হয়না৷ দায় হয় শুধুমাত্র বাঙ্গালী কর্তৃক ধর্ষিত হলেই।
মানবতার কথা বলা মহল ও গোষ্ঠীগুলো বরাবরই পার্বত্য চট্টগ্রামে পান থেকে চুন খসলে বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করে থাকে।
আমরা এমনই দেখেছি, বাঙ্গালী পুরুষের সঙ্গে পাহাড়ী নারীর প্রেমের সম্পর্কের দোহাই দিয়ে পাহাড়ী নারীদের গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করতে এবং পরিবারকে মোটা অঙ্কে জরিমানা ও সমাজচ্যুত করতে।
অথচ পার্বত্য চট্টগ্রামে অহরহ পাহাড়ী সন্ত্রাসী কর্তৃক পাহাড়ী নারীরা ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়। তার জন্য কেউ প্রতিবাদ, জরিমানা ও সমাজচ্যুত করেনা। এই জঘন্য অন্যায় গুলো কেউ গণমাধ্যমে তুলে ধরে না। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী নারীরা যে যুগ যুগ ধরে পাহাড়ী পুরুষ ও সন্ত্রাসী কর্তৃক নির্যাতিত তা সভ্যতার যুগেও অপ্রকাশিত।
গত ২৭ জুন খাগড়াছড়ি দেওয়ানপাড়া পাহাড়ী নারী গণধর্ষণ ও নির্যাতন যদি কোন বাঙ্গালী কর্তৃক সংগঠিত হত তাহলে এতক্ষণে পার্বত্য বাঙ্গালীদের ভূমিদস্যু, ধর্ষক ও নানান অপবাদ দিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হত, টিভিতে টকশো হত। অথচ আজ কিছু হচ্ছে না ধর্ষক ও নির্যাতনকারীদের স্বজাতি হওয়াই।
জানিনা, নির্যাতনের দাগসংযুক্ত ছবিগুলো খাগড়াছড়ি দেওয়ানপাড়ার ধর্ষিত ও নির্যাতিত নারীর কিনা। যদি নারীরই হয় তাহলে অবশ্যই তার ধর্ষক ও নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হোক, এবং এই নিয়ে কঠোর প্রতিবাদ হোক।