উপজাতি কন্যা মামিয়া চাকমা ভালোবেসেছে এক বাঙ্গালী যুবককে। তার জেরধরে স্বজাতি উপজাতি সন্ত্রাসীরা তাকে একের পর এক হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁকে শুধু ট্রল, হেনেস্তা করে থেমে থাকছে না দিচ্ছে ধর্ষণের হুমকিও। খাগড়াছড়ি জেলার দিঘীনাল উপজেলার বাবুছড়ায় তার পরিবারের সদস্যের নিয়মিত হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকাও দাবি করার খবর পাওয়া গেছে। সভ্যতার যুগে একটি স্বাধীন দেশে একজন নারীর সাথে এভাবে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারে কথিত সহজসরল উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা, তা ভাবতেই ঘৃণা লাগে! উপজাতি সন্ত্রাসীদের সাইবার আইডিগুলোতে চোখ বোলালে দেখা যায়, মামিয়া চাকমার বাকস্বাধীনতায় আঘাত করার করুণ চিত্র। তাকে বিশ্রি ভাষায় গালিগালাজ করার পর আবার কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের বন্যা বয়ে দিচ্ছে। ঢাকায় থাকা বাঙ্গালী যুবক কাফির সঙ্গে সম্পর্কের দোহাই দিয়ে একের পর এক তার দিকে অভিযোগের তীর ছুঁড়ে দিয়ে তাকে নিলামে তোলার বৈধতা দেওয়া হচ্ছে৷ ২-৩ মাস ধরে মামিয়াকে স্বজাতি উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তার স্বাভাবিক জীবনকে নিরাপত্তাহীনতার সংকটে ধাবিত করেছে৷ রাজধানীর বুকে থাকা আনুমানিক ১৯-২০ বছরের ছোট মামিয়া চাকমা আজ বড়ই অসহায়৷ স্বজাতির পক্ষ থেকে প্রাণনাশের হুমকি ও ধর্ষণ হুমকির ভয়ে প্রতিমুহূর্তে আতঙ্কে উঠেন। ২-৩ মাস ধরে স্বজাতি সন্ত্রাসীদের হুমকি-ধামকি, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য মুখ বুজে সহ্য করছেন। ধৈয্যের বাঁধ ভেঙে যাওয়াই আজকে সাহসের সাথে স্বজাতি সন্ত্রাসীদের মুখোশ উন্মোচন করলেন৷ চাকমা জাতি যে, একটি হিংসুক জাতি ও নারী নির্যাতনকারী জাতি তা তুলে ধরলেন৷ স্বজাতির মুখোশ উন্মোচন করার পর থেকে চিহ্নিত উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা তাকে ও তার পরিবারকে চাপপ্রয়োগ করে আসছে। হাজার হাজার উগ্রবাদী চাকমা সন্ত্রাসীদের আতঙ্ক এক অপ্রতিরোধ্য মামিয়া চাকমা। তার সুশিক্ষিত, চিন্তা- চেতনা ও আদর্শ মনমানসিকতা ৪-৫ লক্ষ চাকমার বুকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে৷ এক সাহসী উপজাতি কন্যার লড়াইয়ে সমস্ত চাকমা জাতি ভীতসন্ত্রস্ত। মামিয়াদের মত সুচিন্তা ধারার মেয়েরা সন্ত্রাসীদের হুমকি-দামকিতে থেমে যাবে না বরং তারা প্রতিশোধের আগুনে মদ-গাঁজাখোর স্বজাতি পুরুষদের বিবাহ না করেই বাঙ্গালী পুরুষদের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিবে।
পাহাড়ে চলছে টা কী আর কেন বা মামিয়া চাকমারা আজ স্বজাতি উগ্রবাদী পুরুষদের বর্জন করেছে? তা জানেনা বাংলার ১৬ কোটি মানুষ। পাঠকদের জ্ঞাতার্থে কিছু বাস্তবতা তুলে ধরছি- উপজাতি চাকমা সমাজ ব্যবস্থা ব্রিটিশদের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি’র প্রথাগত নিয়মে চলে। এখানে রাষ্ট্রীয় আইন প্রায় অকার্যকর। তাই অপরাধের প্রবণতা পাহাড়ে সমতলের তুলনায় বেশি। পার্বত্য শাসনবিধিতে কঠিন কোন নিয়ম না থাকায় এ অঞ্চলে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ অন্যান্য উপজাতি পুরুষরা মদ-গাঁজা সেবন করে যুগযুগ ধরে নারীর উপর কর্তৃত্ব বজায় রেখে পার পেয়ে যাচ্ছে। চাকমা সমাজে নারীরা অনেক পিছিয়ে, তাদেরকে মাঠে ময়দানের সমস্ত কাজকর্ম করতে হয়। পুরুষরা ঘরে বসে বসেই খায় আর নারীদের ভোগ্য পণ্য হিসেবে ব্যবহার করে। চাকমা সমাজে নারীর বিন্দুমাত্র অধিকার ও মর্যাদা নেই৷ নারীর চাহিদা পূরণে অক্ষম পুরুষরা। এখানে শুধুমাত্র পুরুষদের জুলুম চলে। নারীরা দাসী হিসেবে আছে। নারী এসব অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে যখন কোন বাঙ্গালী পুরুষের সঙ্গে মেলামেশা বা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় তখনই নারীকে চাকমা সমাজব্যবস্থা মেনে নেয়না৷ নারীকে সমাজচ্যুত ও গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করা হয়৷ তাই ইচ্ছে থাকার স্বত্বেও চাকমা নারীরা বা উপজাতি নারীরা বাঙ্গালী পুরুষদের সঙ্গে কথা, প্রেম বা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন না। দেশের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে সন্ত্রাসীরা অহরহ উপজাতি নারীকে বাঙ্গালী পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের দোহাই দিয়ে গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করে। পাহাড়ের এমন জঘন্যতম অপরাধ যুগ যুগ ধরে চলমান। উপজাতি নারীরা ভয়ে প্রকাশ করেন না। রহস্যজনক কারণে এদেশের গণমাধ্যমও তা প্রকাশে অনিচ্ছুক।
অন্য উপজাতি মেয়েরা মামিয়া থেকে শিক্ষা নেবে না বরং উৎসাহ উদ্দীপনা পাবে।
মামিয়া চাকমা যদি বাঙ্গালীর সঙ্গে সম্পর্ক করে অপরাধ করেই থাকে তারজন্য তাকে সুন্দরভাবে বুঝানো যেত। কিন্তু উগ্রবাদীরা তা না করেই মামিয়াকে এমন সায়েস্তা করতে চায় যার পরবর্তীতে যেন অন্য কোন উপজাতি মেয়ে বাঙ্গালীর সঙ্গে সম্পর্ক করার দুঃসাহস না দেখায়! বাস্তবতার নিরিখে বলতে গেলে, সন্ত্রাসীদের বাঙ্গালী বিরোধী এতো অপতৎপরতা ও মেয়েদের উপর স্টিমরোলার চালানোর পরেও কী বাঙ্গালীদের সঙ্গে সম্পর্ক করা কমেছে? বরঞ্চ উপজাতি মেয়েরা ক্ষোভে অভিমানে বাঙ্গালী ছেলেদের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিচ্ছে৷ মামিয়া চাকমার মত একজন হতদরিদ্র পরিবারের মেয়েকে উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা যেভাবে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে, তা কিন্তু বড় লোকের মেয়েদের ক্ষেত্রে পারেনা। মামিয়ার সাথে চরম অন্যায়, অবিচার ও নিষ্ঠুর মানবতাবিরোধী কাজ করা হয়েছে।
উপজাতিদের মধ্যে যারা উগ্রবাদী তারা উপজাতি মেয়েদের সঙ্গে বাঙ্গালী ছেলেদের মেলামেশা দু’চোখ মেনে নিতে পারে না। তাই তারা জাত রক্ষার নাম দিয়ে বাঙ্গালীদের সঙ্গে সম্পর্ক করার অপবাদ মেয়েদের গণধর্ষণ পূর্বক হত্যা করে এবং তাদের পরিবারকে সমাজচ্যুত করার পাশাপাশি মোটা অঙ্গে জরিমানা করেন।
মামিয়া চাকমার সঙ্গে যে চরম অন্যায়, অবিচার চাকমা জাতি করেছে, তা ইতিহাসের পাতায় কলঙ্ক হয়ে থাকবে। শুধু মামিয়াকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়নি তার পিতা-মাতাকেও বিশ্রি ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে। বর্তমানে চাকমা সমাজে অনেক শিক্ষিত ব্যক্তি, উচ্চশ্রেণীর মানুষ ও ভালো ব্যক্তি আছেন। তাদের উচিত ছিল মামিয়া চাকমার পাশে দাঁড়ানো। কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা ও হুমকিদাতা উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে সরব হওয়া। কিন্তু তারা তা করেনি! এটা কী চাকমা জাতির অধঃপতন নাকী সমাজ অচেতন? নাকি চাকমারা বর্বর শ্রেণীর মধ্যযুগীয় কায়দার? মামিয়া বাঙ্গালীর সঙ্গে সম্পর্ক করেছে, তাই বলে কী তার বেঁচে থাকার অধিকার টুকুই নেই? তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও পছন্দ কী থাকতে পারে না? বাঙ্গালীর সঙ্গে সম্পর্ক করেছে বলে কী তাকে সবাই নিলামে তুলে হবে? নিঃশেষ করে দিতেই হবে? এটা কী একটি সভ্য সমাজের বা সভ্য জাতির কাজ? আমাদের দেশের অনেক গণমাধ্যম, মানবাধিকার কর্মী, সুশীল, প্রগতিশীল ও নারীবাদীদের দেখি পাহাড়ে বিন্দুমাত্র ঘটনা ঘটলে তারজন্য চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করেন। অথচ মামিয়াকে প্রকাশ্যে ধর্ষণ হুমকি ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া উপজাতি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে তারা টুঁ শব্দও করছেন না। পার্বত্য আইন- শৃঙ্খলা বাহিনীকেও দেখছি একদম নির্লিপ্ত।
এদিকে মামিয়াকে নিয়ে ট্রল করতে এবং ফেসবুক এর ভিউ বাড়াতে বানানো হচ্ছে কুরুচিপূর্ণ কনটেন্ট। তার ছবির সাথে অন্য ছবি এডিট করে বানানো হচ্ছে নোংরা ভিডিও। তাকে উত্তেজিত করে তার উপর মানসিক প্রভাব ফেলা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফেসবুক আইডিগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত৷ এবং তাকে ঢাকার বসুন্ধরা আই ব্লক ৫ নাম্বার রোড, ১০৩ নাম্বার হাউজ থেকে তুলে আনার হুমকি যারা দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত৷ ঢাকায় উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর তথাকথিত ছাত্রসংগঠন এর সদস্যদের নামের তালিকা করে মামিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও উচিত। অধিকিন্তু মামিয়ার যদি ভবিষ্যতে কিছু হয় তার জন্য তার নিজ গ্রামের যুব সমাজ এর চিহ্নিত যুবকরা দায়ী এবং কিছু ফেসবুক পেইজে উস্কানিদাতা চিহ্নিতরা দায়ী হবেন।
একজন নির্যাতিতা নারী হিসেবে মামিয়া চাকমার খোঁজখবর ও নিরাপত্তা বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রতিটি সচেতন নাগরিকদের কর্তব্য। শুধু মামিয়া নয় নির্যাতিত প্রতিটি উপজাতি নারীর পক্ষে থাকা হবে।
Tui ekta abal.. Sobkishu na jene na andaj kore likhley holo
মামিয়া চাকমা না মামিয়া তালুকদার আরেকটা হতদরিদ্র না যথেষ্ট সামর্থ্য রয়েছে তার পরিবারে।
এইটা কি মিম পেইজ এর নিউজ? তাহলে এত্ত হাসি আসল কেনো?😀😀এত্ত হাসি কৌতুক পড়েও আসেনি যত টা এই কাহিনী শুনে পেয়েছি😂😂😂thanks for entertaining us🤣🤣
হয় টেংগা পেয়োজ এই নিউজ লেগি নেই।।মামিয়া তুন আর তা দালাল তুন