পার্বত্য চুক্তি পক্ষ জেএসএস সন্তুর হাতে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র।

0

অদ্য ৬ আগস্ট ২০২২ খ্রিঃ (শনিবার) সকাল সাড়ে আটটায় ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জন সংহতি সমিতি’ (জেএসএস সন্তু) ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পক্ষের এক সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য ড্রাগনাভা স্নাইপার অস্ত্রের তাজা ছবিগুলো তোলে পাঠিয়েছে৷ জেএসএস সশস্ত্র সদস্য জানান, একে-৪৭, এম-১৬ অ্যাসল্ট রাইফেল, স্নেয়পারসকায়া ভিনটভকা ড্রাগনভা (৭.৬২ এমএম স্নাইপার), এম ৪ কারবাইন, ২২ সাব মেশিনগান, টাইপ ৮১ রাইফেল, কোল্ট এ আর-১৫, রকেটলঞ্চার, মর্টার শেল, ওয়াকিটকি, সামরিক পোষাক, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও যুদ্ধের যাবতীয় রণকৌশল তাদের কাছে আছে। তারা চাইলে ১ বছরের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম তাদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারবেন। পার্বত্য চট্টগ্রামে যুদ্ধ করার পরিবেশ ও রণকৌশল নাকি তাদের রাষ্ট্রীয় বাহিনী থেকে ভালোই জানা। তাই তারা চাইলে ১ বছরের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ সরকারের সবধরনের কার্যক্রম গুটিয়ে দিতে সক্ষম। কিন্তু তাদের আরো ভারী অস্ত্র ও জনবল প্রয়োজন তজ্জন্য তারা সে পর্যন্ত পৌছার জন্য মুখিয়ে আছেন। কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সহায়তা তারা সর্বাত্মক পাওয়ার জন্য তাদের লগিং কাজ করছে। তারা দু’টি কৌশলে এগুচ্ছে তাদের প্রধান কৌশল হলো- আদিবাসী জনগোষ্ঠী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি৷ তারপর আদিবাসী ঘোষণাপত্র অনুযায়ী ভূমি অধিকার, স্বায়ত্তশাসন অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার এবং জাতীয়তা লাভের অধিকারের দিকে হাঁটবেন৷ তজ্জন্য তারা আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তায় কাজ করছে৷ তাদের দ্বিতীয় রণকৌশল হলো- সরাসরি সরকারের সাথে যুদ্ধ করে পার্বত্য চট্টগ্রাম দখল করা।

এ দু’টি কৌশলে তারা এগুচ্ছে৷ এজন্য তাদের যা কিছুই প্রয়োজন তা তারা করবেন৷

প্রতিবেশী দেশের সেভেন সিস্টার রাজ্যের জেলাতে তাদের বেশকয়েকটি প্রশিক্ষণ শিবির ও অস্ত্রগার রয়েছে৷ ওখানে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ অস্ত্র ও জনবল রয়েছে৷ এছাড়াও, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, থানচি, রুমা, আলিকদম তাদের কয়েকটি স্থায়ী-অস্থায়ী আবাসন রয়েছে। বর্তমানে তাদের প্রায় ১২ হাজারের মত সশস্ত্র জনবল রয়েছে। প্রতিবেশী দেশের বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী গ্রুপ থেকে তারা অস্ত্র নিচ্ছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র পর্যন্ত তাদের সহায়তা দিচ্ছে। অর্থের মাধ্যমে ভারী আধুনিক অস্ত্র ও যুদ্ধের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি ক্রয় করছেন৷ তাদের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তির জন্য যেসমস্ত খাতগুলো হতে পূর্বে চাঁদা সংগ্রহ করা হতো তা এখনো রয়েছে। তাই তাদের অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি নিয়ে বাড়তি টেনশন নিতে হচ্ছেনা। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে তাদের কূটনীতিক সম্পর্ক গভীর৷

এভাবে স্বপ্নের জুম্মল্যান্ড গঠনের অভিলাষে মনের কথাগুলো ভাগ করেছে জেএসএস সন্তু গ্রুপের এক সশস্ত্র সন্ত্রাসী।

আমাদের সরকার তাদেরকে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে সবধরনের সুবিধা দিলেন। কিন্তু এই সুবিধা পেয়ে কী তারা সন্তুষ্ট হলো? তারা মোটেই সন্তুষ্ট নয়। তারা সেই আগের পথেই আছে। দেশভাগের ষড়যন্ত্রের মানসেই তারা বাঙ্গালী ও রাষ্ট্রীয় বাহিনীর উপর নির্বিচারে হামলা করে যাচ্ছে৷ এ পর্যন্ত সরকার তাদের থামাতে পারেনি৷

সরকার তাদের সাথে বরাবরই যদি নমনীয়তা বজায় রাখে তাহলে অচিরেই তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করবে। এখনই সঠিক সময় পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রাখা৷ অসাংবিধানিক পার্বত্য চুক্তির শর্ত মোতাবেক প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্পগুলো পুন:স্থাপন করা হোক এবং তাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে সাঁড়াশি অভিযান জোরদার করা হোক।

আগের পোস্টআদিবাসী শব্দ ও সরিষায় ভূত!
পরের পোস্টক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও উপজাতি এবং আদিবাসী শব্দ’টির তফাৎ বুঝেনা দেশের অধিকাংশ মানুষ!!!

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন