খাগড়াছড়ি মহালছড়ির উপজাতি সন্ত্রাসীদের অগ্নিসংযোগ ও সাম্প্রদায়িক হামলার আজ ১৯ বছর।

0
269

 

খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি উপজেলায় ২০০৩ সালের ২৬ আগস্ট সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকায় উপজাতি সন্ত্রাসীদের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসী পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ কর্তৃক ১৪ জন বাঙ্গালীকে রক্তাক্ত করে ১৬টির অধিক ঘর-বাড়িতে অগ্নিসযোগ, লুটপাট, নারী ধর্ষণ, হত্যা ও অপহরণ করা হয়। হামলার দিন পরিকল্পনা করে উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো মহালছড়ির সাপ্তাহিক হাটবাজারে উপজাতি জনসাধারণকে আসতে দেয়নি! বেছে বেছে সেদিন বাঙ্গালীদের উপর হামলা করা হয়েছে৷ সন্ত্রাসীরা বাঙ্গালীদের চাঁদার জন্য প্রতিনিয়ত অপহরণ করত ও ভূমি দখল করার জন্য ষড়যন্ত্র করত এবং উচ্ছেদ করতে বাঙ্গালীদের উপর হামলা করত। নানান পন্থা অবলম্বন করে বাঙ্গালীদের সঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা সংঘটিত করার অপচেষ্টা করত। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করত। মূলত এসব নিয়ে উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এই নৃশংস হামলা ও সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছে৷ সেদিন বাজারের বাঙ্গালী ব্যবসায়ীদের দোকান লুটপাট এবং বাঙ্গালীদের বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করে লুটপাট করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সন্ত্রাসীরা। উপজেলা সদর থেকে যে বাঙ্গালী গ্রামগুলোর দূরত্ব বেশি ছিল সেগ্রামগুলো ছিল সন্ত্রাসীদের হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু। মহালছড়ির সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষত এখনো শুকাতে পারেনি বাঙ্গালীরা। সন্ত্রাসীদের তান্ডবে সেদিন পুলিশ ও সেনাবাহিনী নির্বিকার ছিল। সন্ত্রাসীরা বাঙ্গালীদের উপর এই নৃশংস হামলা ও সাম্প্রদায়িক হামলা মুছে ফেলতে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিজেরাই সাধারণ উপজাতিদের শতাধিক ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরবর্তীতে তাকে সাম্প্রদায়িক রং দেওয়া হয়। সন্ত্রাসীরা হামলা করে বৌদ্ধ বিহারে আশ্রয় নেয়৷ সেনাবাহিনী যখন বৌদ্ধ বিহারে অভিযান পরিচালনা করে তখন কতিপয় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সন্ত্রাসীদের রক্ষা করতে সেনাবাহিনীর উপর চড়া হয় এমনকী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করতেও পিছপা হয়নি।

সে দিনের ঘটনাগুলোর বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। আজ ১৯ বছর পরেও সাম্প্রদায়িক হামলার সঙ্গে জড়িত উপজাতি সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়নি এবং জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হয়নি! শুধু মহালছড়ি নয় সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রাম- বাঘাইছড়ি, দিঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়, কাউখালী, লক্ষীছড়ি ও নানিয়ারচর, লংগদু কাপ্তাই, রাজস্থলী, এবং লামা, রুমা, আলীকদম, থানচি ও নাইক্ষ্যংছড়ি অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটপাত ও গণহত্যার মতো মানবতা বিরোধী অহরহ ঘটনা করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালী নেতৃত্ব সৃষ্টি না হওয়া এবং এ অঞ্চল নিয়ে রাষ্ট্রের উদাসীন নীতির ফলে সন্ত্রাসীরা দায়মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। এর বিচার কোনদিন হবে বলে মনে হয়না! মহালছড়ির এই ঘটনাকে তৎকালীন বাম ধারার গণমাধ্যম কর্মীরা একপাক্ষিক ভাবে বাঙ্গালীদের উপর চাপিয়ে দেয়। শুধুমাত্র বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীকে এ ঘটনার জন্য দায়ী করে প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত হয়৷ রঙিন কাপড় পরা ধর্মগুরো ও তথাকথিত গণমাধ্যম এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রদানের এক পর্যায়ে সরকার, বৈদেশিক দাতাসংস্থাগুলো কয়েকশো কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়, এবং নানান সাহায্য সহযোগী দেয়। তার কোনকিছুই বাঙ্গালীদের ভাগ্যে জুটেনি৷ সম্পূর্ণ বরাদ্দ ও সাহায্য-সহযোগিতা ইউপিডিএফ এবং জেএসএস সন্ত্রাসীরা লুটপাট করে নিয়েছে। লোক দেখানোর জন্য কিছু উপজাতিকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে৷ বিষয়গুলোর সত্যতা মহালছড়ির প্রবীণ ব্যক্তিরা বলতে পারবে।

বাঙ্গালীদের ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও বাঙ্গালীদের উপর বর্বোরচিত নির্যাতন চালিয়ে তা দামাচাপা দিতে নিজেরা স্বজাতিদের ঘর অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট করেছে। পরবর্তীতে তা জাতিসংঘ সহ বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে৷ সেই অপপ্রচার তারা ১৯ বছর পরও বন্ধ করেনি। সেসময়ে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে নিজেদের রচিত নাটক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে৷ যা বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর পাহাড়ে উপস্থিতি বন্ধ করার ষড়যন্ত্র।

তৎকালীন গণমাধ্যম কর্মীরা উপজাতিদের বক্তব্য ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রচার করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তারা বাঙ্গালীদের বক্তব্য নেয়নি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করেনি। গণমাধ্যমের এই বৈষম্য মূলক ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ পার্বত্য চট্টগ্রামের চরম বাস্তবতা অপ্রকাশিত থেকে যায়। যার কারণে সন্ত্রাসীরা বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীকে পার্বত্য সংকটের জন্য দায়ী করা সহজ হয়ে যায়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাঙ্গালী লেখক না থাকায় পাহাড়ের অনেক চরম বাস্তবতা অ-প্রকাশিত রয়ে যায় এবং বাঙ্গালী ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা রটিয়ে দেওয়া হয়।

আগের পোস্টজেএসএস সন্তুর এ্যামবুশে পড়ে ইউপিডিএফ প্রসিত-এর একটি সেকশন পুরো বিধ্বস্ত।
পরের পোস্টকাউখালীর মাটিতে কোন অস্ত্রবাজ ও চাঁদাবাজদের ঠাঁই নেই।

রিপ্লাই দিন

আপনার কমেন্ট লিখুন
আপনার নাম লিখুন